কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রæপের দফায় দফায় সংঘর্ষ

2

কাজির বাজার ডেস্ক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ চার দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রæপের মধ্যে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ চার দফা দাবিতে দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বিকেল ৫টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে আল্টিমেটাম দেন।
এদিকে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রদের আরেকটি গ্রæপ স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে অগ্রসর হয়। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা ছিল। এ খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েটের প্রধান ফটক থেকে বের হয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে একটি ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাÐ পরিচালনা করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত রাখার দাবিতে সেøাগান দেন। এ সময় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ছাত্রদের দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে কুয়েটের সামনের সড়কে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তবে, গত কয়েকদিন ধরে একটি ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছে। এতে বাধা দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার চার দফা দাবি জানিয়ে বিকেল ৫টার মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো- কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রবেশ করানো ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ১৮ জন ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির বিধান উল্লেখ করে অর্ডিন্যান্সে যুক্ত, কুয়েটে রাজনীতি প্রবেশে সহায়তাকারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির আওতায় আনা এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনা।