কাজির বাজার ডেস্ক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্যে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তাগিদপত্র দিলেও এখনো জবাব দেয়নি দিল্লি। হাসিনাকে ভারতীয় সরকার ফেরত দিতে ‘অনীহা’ দেখালেও দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলের ৫৫ শতাংশ মানুষ চান তাকে যেন বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের ‘মুড অব দ্য নেশন’ জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে প্রশ্ন করা হয়Ñ ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সরকারের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে আপনার মতামত কী?’ জবাবে উত্তরপূর্বাঞ্চলের ২৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, হাসিনা ভারতের মিত্র ছিলেন, তাই তাকে আশ্রয় দেওয়া ঠিক ছিল। আর পুরো ভারতের ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ এটির পক্ষে মত দিয়েছেন।
তবে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে হাসিনাকে এখন ফেরত পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন উত্তরপূর্বাঞ্চলের ৫৫ শতাংশ মানুষ। অপরদিকে পুরো ভারতের ২১ দশমিক ১ শতাংশ চান, হাসিনাকে এখন ভারত সরকার ফেরত পাঠিয়ে দিক। এছাড়া পুরো ভারতের আরও ২৯ শতাংশ মানুষ চান হাসিনা যেন আর ভারতে না থাকেন। তবে তারা চান হাসিনাকে যেন বাংলাদেশে ফেরত না পাঠিয়ে অন্য দেশে চলে যেতে বলা হয়। অপরদিকে উত্তরপূর্ব ভারতের ১৬ শতাংশ মানুষ এটির পক্ষে মত দিয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। এরপর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন।
বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক গুম ও জুলাই বিপ্লবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্র্বর্তী সরকার।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাÐ ও শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাÐের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে।