সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ৭১’এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ২৪’এর বৈষম্যরিরোধী আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী ছাত্রজনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, জুলাই-আগষ্টে আন্দোলনে আমাদের মুক্তভাবে কথা বলার সাহস জুগিয়েছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। লেখাপড়ার পাশাপাশি কোরআনের শিক্ষা মানুষের জীবন পাল্টে দিতে পারে। এ শিক্ষাই মানুষকে উন্নত শিখরে পৌঁছায়। কুরআনের আলোতে জীবন গড়লে ইহাকলীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, মোবাইল মানবজীবনের জন্য খুবই দরকার কিন্তু সীমিত আকারে তা ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল পরিহার করে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে হবে, শিক্ষার্থীদের বই হবে প্রকৃত খোরাক।
গতকাল রোববার দুপুরে সিলেটের জালালাবাদ কলেজ ক্যাম্পাসে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি’র সভাপতিত্বে ও কলেজ শিক্ষক সাব্বির আহমেদ মিজান ও সাদিক আহমদ রুবেলের যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক আয়েশা বেগম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কো-অর্ডিনেটর ও সহকারী অধ্যাপক ছায়েম আহমদ। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি বলেন, কলেজের কো-কারিকুলাম ও একটিভিটিজে অংশ হিসাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ইভেন্টে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা আনন্দের মাধ্যমে লেখাপড়ায় আরো মনোযোগী হতে হবে। তিনি বলেন, আগামীতে এই কলেজে স্নাতক কোর্স চালু হবে। অবিভাবকরা আন্তরিক হলে এই কলেজকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। অনুষ্ঠানে শিক্ষক মন্ডলীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিসেস সালমা, ফাহিমা সুলতানা চৌধুরী, ফরিদ আহমদ, নজরুল ইসলাম, তাহসিন সিদ্দিকা, নাবিলা রহমান চৌধুরী, ফারুক আহমদ, মেহেদী হাসান জাবেদ, সাজিদুর রহমান মুরাদ, মোঃ বেলাল আহমদ, জামিল আহমদ, ইফতিখার আহমদ চৌধুরী, মোঃ মোশাহিদ আলী, ফারহা সুলতানা চৌধুরী প্রমুখ। পরে বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি পুরষ্কার বিতরণ করেন।