গ্রাম আদালতে নারীর সুবিচার প্রাপ্তিতে যুবারা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে : জেলা প্রশাসক

3

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেছেন, স্থানীয় জনগণ বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে গ্রাম আদালত ও এর বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে যুবারা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকেন। স্থানীয় যুবদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও তাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত কার্যক্রমকে সক্রিয় রাখা সম্ভব হয়। এতে করে অতি সহজেই বিভিন্ন বিরোধ ও বিবাদ ইউনিয়ন পর্যায়ে নিষ্পতি করতে পারবে গ্রামের মানুষজন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রæয়ারী) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্পের উদ্যোগে গ্রাম আদালত জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন বিষয়ক যুব কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, গ্রাম আদালত জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন’ বিষয়ক যুব কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন যুবদল যারা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার সাথে জড়িত তাদের গ্রাম আদালত ও এর এখতিয়ারভুক্ত বিচরিক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দেয়ার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করা। যেনো তারা নিজ পরিবার, এলাকায় ও শিক্ষাকেন্দ্রে গ্রাম আদালেতের কথা প্রচার করতে পারে।
এভিসিবি ৩য় পর্যায় প্রকল্প ইপসার সিলেট ও মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার শওকত হাসানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সভার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক সুবর্ণা সরকার।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারহানা ইদ্রিস। কর্মশালায় জেন্ডার সংবেদনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গ্রাম আদালত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের জেন্ডার এনালিস্ট শামীমা আক্তার শাম্মী। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদফতরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুর রফিক, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ পরিচালক জি এম ফারুক, তথ্য অধিদফতরের উপ পরিচালক সালাহ উদ্দিন এবং মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ পরিচালক শাহিনা আখতার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় এর আওতাধীন স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউএনডিপি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর যৌথ অর্থায়নে “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প’ আয়োজিত এই কর্মশালায় সিলেট জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩০ জন যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী যুবারা বলেন, এই কর্মশালায় এসে তারা গ্রাম আদালত ও এর বিচারিক সেবা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন তারা গ্রামের মানুষজনকে গ্রাম আদালতে গিয়ে বিরোধ ও বিবাদ নিষ্পত্তিতে উৎসাহিত করতে পারবে। সকলেই স্থানীয় সরকার, ইউএনডিপি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে এই ধরণের কর্মশালা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প ৬১ জেলার ৪৬৮টি উপজেলায় ৪, ৪৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে যুবদের সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় প্রশাসন ও অংশীজনদের অংশগ্রহণে জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের নেতৃত্বে গ্রাম আদালত বিষয়ক জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন কর্মশালা অনুষ্টিত হয়। বিজ্ঞপ্তি