বিশ্বনাথে দিনদিন বেড়েছে সরিষা চাষ

2

মশিউর রহমান, বিশ্বনাথ
চাষাবাদে সুবিধা ও লাভজনক হওয়ায় বিশ্বনাথ উপজেলায় বেড়েছে সরিষা চাষ। গত বছরের তুলনায় এবছর ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ বেশি হয়েছে। কম খরচে উৎপাদন ও লাভজনক হওয়ায় দিনদিন কৃষকরা সরিষা চাষে মনযোগী হচ্ছেন। সরিষা চাষের পরিমাণ বাড়াতে কৃষকদের প্রণোদনা সহায়তা, পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে কৃষি অধিদপ্তর।
ইতিমধ্যে অনেক কৃষকের জমিতে ফলানো সরিষা পাঁকতে শুরু করেছে। কারো আবাদকৃত জমিতে হলুদের সমারোহ। ফুটেছে ফুল। কেউ এখনও বীজ বুনেছেন, গজাচ্ছে গাছ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সরিষা আবাদের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে এবছর ফলন হবে আশানুরূপ।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশ্বনাথ উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১০ হেক্টর বেশি। অর্থবছরে ৩৫০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সরিষা ফসলের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেকগুণ কম। গত অর্থবছরে ১৮০০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সরিষা ফসলের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছিল। সরকারি প্রণোদনা ও সহায়তা এ বছর কম পাওয়া গেলেও আবাদের পরিমাণ বেড়েছে এমন দাবী করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
সরিষা আবাদ দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে এবং কৃষকেরা চাষে ঝুঁকছেন কিন্তু সরকারি প্রণোদনা ও সময়মত বীজ না পাওয়ায় তারা কাক্সিক্ষত পরিমাণে আবাদ করতে পারছেন না এমনটাও জানিয়েছেন খাজাঞ্চি ইউনিয়নের সরিষা চাষী রফিক মিয়া। তিনি বলেন, গতবছর সরকারি ভাবে বীজ ও সার পাওয়ায় সরিষা আবাদ করেন, কিন্তু এবছর বীজ ও সার সরকারি না পাওয়া তারা সরিষা চাষ থেকে বিরত রয়েছেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, গেলবারের চেয়ে এবার সরিষা চাষ বেশি করেছেন কৃষকরা। তবে কৃষি দপ্তর প্রণোদনা কমিয়েছে। তারপরও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে না।