ছাতকে সড়কে গাছ ফেলে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি

2

ছাতক সংবাদদাতা

সড়কে গাছ ফেলে সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী দুটি বাস আটকে টাকা ও মুঠোফোন লুট করেছে ডাকাতরা। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সুনামগঞ্জ-ঢাকা সড়কের ছাতক উপজেলার দারাখাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা কয়েকজন যাত্রীকে মারধর করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের দুটি রুট আছে। এর মধ্যে সিলেট হয়ে একটি পথ, অন্যটি সুনামগঞ্জ থেকে জেলার জগন্নাথপুর হয়ে। বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ শহর থেকে আল মোবারাকা ও মামুন পরিবহনের দুটি বাস যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে ছাতক উপজেলার দারাখাই এলাকায় যাওয়ার পর গাছ ফেলে পথ রোধ করে ডাকাতরা। এরপর বাসে উঠে দেশী অস্ত্রের মুখে চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে টাকা, মুঠোফোনসহ অন্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বমবমি গ্রামের বাসিন্দা লিমন আহমদ বলেন, সড়কের ওই জায়গা তিন উপজেলার মোহনার মতো। ছাতক, জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পড়েছে। আশপাশে গ্রামও নেই। কোনো অঘটন ঘটলে পুলিশকে আগে নিশ্চিত হতে হয় কোন থানায় পড়েছে। বুধবার রাতে ডাকাতির পর তিনটি থানার পুলিশ এসেছিল। লিমন আরও বলেন, এলাকায় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের খেলা চলছিল। খবর পেয়ে সবাই ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং গিয়ে দেখেন, দুটি বাস আটকে আছে। বাসের যাত্রীরা চিৎকার করছিলেন। অনেকের কাছ থেকে টাকাপয়সা ও জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। ডাকাতরা মারধরও করেছে অনেককে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
বাসের যাত্রীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন জানান, ডাকাতেরা ১৫ থেকে ২০ জন ছিল। বাস থামার পরই ডাকাতরা বাসে ঢুকে রামদা, দা ও ছুরি দিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। এরপর সবার কাছ থেকে মুঠোফোন, টাকা ও জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ওই স্থান তিনটি থানার মোহনা হওয়ায় ডাকাতরা সুযোগ নিয়েছে। অতীতেও এখানে এ রকম ঘটনা ঘটেছে।
মামুন পরিবহনের সুপারভাইজার মনির হোসেন জানান, সড়কের পাশে রাখা কাটা গাছ ফেলে গাড়ি আটকানো হয়েছিল। পরে চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতি করা হয়। সড়কের স্থানটি অনেকটা নির্জন। আশপাশে কোনো গ্রাম নেই।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, খবর পেয়ে তিনটি থানার পুলিশও সেখানে গিয়েছে। পুলিশ সারা রাত সেখানে ছিল। যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকাপয়সা নিয়েছে, তবে কেউ আহত হননি। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।