সিলেট সদর উপজেলার ৮ নং কান্দিগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম দর্শা গ্রামকে সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন থেকে রক্ষার দাবীতে মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার বাদ জুমা পশ্চিম দর্শা সুরমা নদী পারে এ মানব্বন্ধন পালন করেন তারা। এসময় বক্তারা বলেন পশ্চিম দর্শা গ্রামবাসী সুরমা নদীর ভাঙনে আতঙ্কিত। এর মধ্যে অনেক বাড়ি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে অনেক পরিবার। এতো মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গ্যাস লাইন নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়ে গেছে। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু তাই নয় এই ভাঙ্গন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে পশ্চিম দর্শা জামে মসজিদ, কবরস্থান, মাদ্রাসা ও পশ্চিম দর্শা ঈদগাহ এবং হযরত শাহজামাল (রহ.) এর অন্যতম সফর সঙ্গি হযরত খন্দকার (রহ.) এর মাজারও ভাঙ্গনের শিকার হয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে এব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর সাথে যোগাযোগ করা হলেও এর কোন সুরাহা হয়নি। তাই এলাকাবাসী বন পরিবেশ ও পানি উন্নয়ন উপদেষ্টা সহ সকলের দৃষ্টি কামনা করছেন।
এসময় উপস্থিত ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মনাফ, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীন নাজির উদ্দিন আহমদ, মো. জসিম উদ্দিন, এলাকার মুরব্বী মো. ছাদ খান, মো. সুরুজ আলী, সাংবাদিক এম রহমান ফারুক, ইঞ্জিনিয়ার লুৎফুর রহমান, প্রভাষক তাজউদ্দিন, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুস সামাদ, সাবেক মেম্বার দুলাল আহমদ, মো. বদরুল খান, জমির আলী পটুল, মাওলানা আলী হোসেন, চাঁন মিয়া, সোহেল আহমদ, আনোয়ার হোসেন, তৈমুছ আলী, রহমত আলী, রহমত খান, হাজী তজমুল আলী, আফজল হোসেন, মো. তজমুল আলী, মহিবুর রহমান মাখন, ফজলুর রহমান, অলিউর রহমান, ফারুক আহমদ, আবুল কালাম, সাদ উল্লাহ, আজাদ আহমদ, মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি