ধর্মপাশা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের ছিমিরখাল নামক আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে অগ্নিকাÐে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চার শিশু সন্তান ও বাবা-মাসহ একই পরিবারের ৬ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাÐে নিহতরা হলেন-এমারুল (৫০), তাঁর স্ত্রী পলি আক্তার এবং তাঁদের চার সন্তান পলাশ মিয়া (৯), ফরহাদ (৭), ফাতেমা বেগম (৫) ও উমর ফারুক (৩)। নিহত এমারুল পেশায় একজন জেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে আশপাশের বাড়িঘরসহ ওই পরিবারের লোকজন ঘুমাতে যান। রাত সাড়ে ১২টায় ধোঁয়া ও আগুন দেখে আশপাশের লোকজন গিয়ে ভেতর থেকে দরজা জানালা বন্ধ দেখতে পান। দেখতে দেখতে আগুনে ভস্মীভ‚ত হয় ঘরটি। এসময় ভেতরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ওই পরিবারের চার শিশুসহ ৬ জন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন অগ্নিকাÐের ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ ও ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক রয়েছেন। ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন জানান, কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
এদিকে, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চার শিশু সন্তানসহ বাবা-মা নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এটি আদৌ দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু সেটি তদন্তে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল। ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় পুলিশ সুপার আ. ফ. ম আনোয়ার হোসেন খান বলেন, এ ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু, সেটি উদঘাটনে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করছে। সিআইডি’র একটি দল গ্রামে পৌঁছেছে। এছাড়া সিলেটের ক্রাইম সিন ইউনিটের আরেকটি দল ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ বললেন, ভোরে রওনা দিয়ে প্রত্যন্ত এই হাওরপাড়ে এসে এমন ঘটনা দেখে আমরা হতভম্ব। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন জানান, ভস্মীভ‚ত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শীমের খাল এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে একই পরিবারের ৬ জন আগুনে পুড়ে মারা যান। ঘটনার সময় ওই বসতঘরের দরজা জানালা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।