গতকাল রবিবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১ টায় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) এর কার্যালয়ে উত্তর বিভাগের অন্তর্গত মোট ২৮টি বিটে কর্মরত অফিসারবৃন্দের সাথে মাসিক এক মতবিনিময় সভা অনুুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন এসএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) ফয়সল মাহমুদ। উক্ত সভা থেকে অফিসারবৃন্দদের মধ্যে নিম্নবর্ণিত দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
স্ব-স্ব বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্দেশনাসমূহ হচ্ছে- প্রতিটি পাড়া/মহল্লার নাম উল্লেখপূর্বক গুরুত্বপূর্ণ স্থান নির্ধারণপূর্বক একটি ম্যাপ তৈরী করতে হবে, অন্তর্ভূক্ত সকল জিআর/সিআর/সাজা ওয়ারেন্টের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, বিভিন্ন পেশার কমপক্ষে ১০ (দশ) জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বরসহ তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, ১০ (দশ) জন শীর্ষ অপরাধীর তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, ভাড়াটিয়াদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, প্রবাসীদের তালিকা প্রস্তুত করতঃ প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর রাখতে হবে, ভাড়াটিয়াবিহীন কেয়ারটেকারের তত্ত্বাবধানে থাকা মেস/বাসা/বাড়ির তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/মসজিদ ও মন্দিরের প্রধানদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, এসএমপি’র আওতাধীন ওয়ার্ড/পাড়া/মহল্লায় কমিউনিটি পুলিশীং কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে প্রতিমাসে ন্যূনতম একটি সভার আয়োজন করতে হবে, বহিরাগত লোক যাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় তাদের প্রত্যেকের নামে বি-রোল ইস্যু করতে হবে, কোন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধের সহিত জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্তে গোপন তথ্য সংগ্রহপূর্বক অনতিবিলম্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে, অফিসারগণ তার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করবেন এবং তাঁদের মোবাইল নম্বর উক্ত ব্যক্তিদের প্রদান করতে হবে, অফিসারগণ এলাকার সর্বস্তরের লোকদের নিয়ে জঙ্গি ও মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করতে হবে, অফিসারগণ বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং ও জুয়া প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিমাসে কমপক্ষে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক সভা করতে হবে, অফিসারগণ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোসহ পাহারাদার নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, অফিসারগণ তাদের এলাকায় প্রতিনিয়ত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে হবে, অফিসারগণ মন্দির/মসজিদ/গীর্জা পরিদর্শন করে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে, অফিসারগণ তাদের দায়িত্বাধীন এলাকায় অবৈধভাবে কোন নির্মাণ সামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করতে হবে, অফিসারগণ তাদের দায়িত্বাধীন এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা যাতে পাড়া/মহল্লা/স্কুল/কলেজে আড্ডা দিতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, অফিসারগণ তাদের দায়িত্বাধীন এলাকায় রাত ১২ টার পর কোন চা-দোকানপাট খোলা পেলে সেই দোকানদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া উক্ত সভায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিভূতি ভূষণ বানার্জী উপস্থিত ছিলেন। ২৮টি বিটের মধ্যে ০৪টি বিটের সফল কার্যক্রম পরিচালনাকারী অফিসার যথাক্রমে- এসআই(নিঃ)/মোঃ গোলাম মোস্তফা , এএসআই (নিঃ)/৫৪৪ নূরুল আমীন (বিট নং-০১, ওয়ার্ড নং-০১, সিলেট সিটি কর্পোরেশন), এএসআই(নিঃ)/অমর কুমার দাস ও এএসআই(নিঃ)/বিশ্বজিত দাস (বিট নং-০৪, সিলেট সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড নং-০৯), এসআই(নিঃ)/মোঃ হুয়ামুন আজাদ ও খ) এএসআই(নিঃ)/মোঃ মনিরুজ্জামান, (বিট নং-০৭, সিলেট সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড নং-১২) এবং এসআই(নিঃ)/মোঃ ইবাদুল্লাহ ও এএসআই(নিঃ)/মোঃ কামরুল হাছান, (বিট নং-১০, সিলেট সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড নং-১৫) দেরকে ক্রেষ্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
অপরদিকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছড়ারপাড় হতে গুরুত্বর আহত শিশুকে উদ্ধারের জন্য এসআই(নিঃ)/মোঃ কমর উদ্দিন, এএসআই(নিঃ)/মোঃ মনিরুজ্জামান, কনষ্টেবল/২০১৩ মিলন মিয়া, কনষ্টেবল/২৪১৩ মোঃ মিজানুর রহমান এবং কনষ্টেবল/২২৯৫ সজিবুল ইসলামদেরকে অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) উপস্থিত স্ব-স্ব বিটের কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এসএমপি’র অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর)/ এডিসি (মিডিয়া) বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তি