সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ১১টি বালিভর্তি বাল্কহেড ও ইঞ্জিন নৌকা আটক করা হয়েছে। শনিবার এসব অবৈধ বালিবাহী বাল্কহেড ও ইঞ্জিন নৌকা আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়া হয়। এর আগে অন্তত ১৫টি নৌযানে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার ঘটনায় কোন মামলা এফআইআর না হলেও শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার নির্দেশে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা নদীতে মহড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার দিবাগত রাতে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার একজন এসআই ৪৭ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ১৫টি বালিবুঝাই করা ইঞ্জিন নৌকা ছেড়ে দেন। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে এসআই হামিদ দায়িত্ব পালন করলেও কোন নৌকা বের হতে দেননি। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে নদীতে দায়িত্ব পালন করছেন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই সবুর। তার চোখ ফাকি দিয়ে সদর উপজেলার হুরারকান্দা গ্রামের কতিপয় চোরাকারবারী প্রায় ১০০ বালিবাহী ইঞ্জিননৌকা অক্ষয়নগর গ্রামের পশ্চিমে ধোপাজান নদীতে রাখে। তারা পরিকল্পনা করে ভোররাত ফজরের নামাজের সময় পূর্ব সদরগড় ও পশ্চিম সদরগড় গ্রামের কতিপয় লোককে নিয়ে জোর করে বালিবাহী নৌকা বের করবে। এজন্য তারা ধোপাজান নদীর দুইপাড়ে গোপনীয় মিটিং এর আয়োজন করে থাকে। কিন্তু চোরাকারবারীদের সকল পরিকল্পনা প্রশাসনকে তাৎক্ষনিকভাবে জানান দেয়া হয়। ফলশ্রæতিতে জেলা প্রশাসক ইজারাবিহীন ধোপাজান নদীর বালি পাথরসহ মূল্যবান খনিজ সম্পদ রক্ষায় সেনা ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে টহল ব্যবস্থা জোরদার করেন। ডিবি ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, কোন অসাধূচক্র যদি শক্তির দাপট প্রদর্শন করে ইজারাবিহীন ধোপাজান নদী হতে ইঞ্জিননৌকা দিয়ে বালিপাথর বের করার চেষ্টা করে আমরা কাউকে কোন ধরনের ছাড় দেবনা। সবগুলোকে ধরে ধরে মামলা দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা হেলাল আহমদ বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৯ টা থেকে চোরাকারবারীরা সদর উপজেলার অক্ষয়নগর গ্রামে ধোপাজান নদীর পাড়ে প্রায় একশত নৌকা লোড করে রেখেছিল। ঘটনাটি আমাকে স্থানীয় লোকজন জানালে আমি সকলকে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানোর জন্য অনুরোধ করি। জেলা প্রশাসক গভীর রাতে হলেও মোবাইল ফোনে শুনে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করায় আমরা তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।