পায়রা উড়ানোর প্রতিযোগির পুরষ্কার দিল এসআরপিওএ

7

 

সিলেটের শহুরে মানুষদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে পায়রা পোষার সংস্কৃতি। তেমনি হারিয়ে গেছে পায়রা উড়ানোর প্রতিযোগিতাও। অথচ এক সময় পায়রা উড়ানোর প্রতিযোগিতা ছিল আকর্ষণীয় ব্যাপার। উঠতি বয়সের ছেলেদের কাছে এটা ছিল নেশার মত। আর এখনকার ছেলে মেয়েরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
তরুণ প্রজন্ম কবুতর পালন করলে মাদক, ইন্টারনেট ও বখাটেপনা থেকে দূরে থাকবে। তাই কবুতর পালনে জনগণকে উৎসাহিত করতে বিভাগব্যাপী পায়রা উড়ানোর টুর্নামেন্টের আয়োজন করবেন বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট রেসিং পিজন ওনার্স এসোসিয়েশনের (এসআরপিওএ) পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা একথাগুলো বলেন। নগরীর দাড়িয়াপাড়া একটি অভিজাত হোটেলে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি ‘খালেদ আহমদ মিশুর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেনের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এফআইভিডিবির ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার এ.কে. শামীম আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্ঠা ছিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী সাহেদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশনের সভাপতি ফয়সল আহমদ বাবলু। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন, সহ সভাপতি সৈয়দ মেহেদী, সংগঠনের সহ সাধারন সম্পাদক শাহাজাহান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার সম্পাদক শামসুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ কামিল আহমদ, ইমরান আহম মিন্টু, সাইফুর রহমান, তানিন আহমদ, ফারুক মিয়া।
পরে পায়রা রেসিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যটাগরিতে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জনকারী শাহজাহান আহমদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তিনটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আর্জন করেন আনিসুল হক ও একটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আর্জন করেন ইমরান আহমদ মিন্টু। বিভিন্ন ক্যটাগরিতে রানার আপ হন খালেদ আহমদ মিশু, শামসুল ইসলাম শামস।