স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাসের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ। এতে নগরবাসীর মনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। সঙ্গে রয়েছে অগ্নিকাÐের আতঙ্ক। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাস সঞ্চালন লাইনের ছিদ্র (লিকেজ) শনাক্তে গ্যাসের সঙ্গে সরবরাহ করা অডরেন্ট (তীব্র গন্ধযুক্ত এক ধরনের গ্যাস) থেকেই ছড়াচ্ছে এ দুর্গন্ধ।
সিলেট মহানগরীর নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, আম্বরখানা, হাউজিং এস্টেট, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, টুকেরবাজার, রিকাবী বাজার, শেখঘাট, শাহজালাল উপশহর, শিবগঞ্জ, টিলাগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, মহানগরীর প্রায় সব আবাসিক এলাকায়, রাস্তার পাশে যেখানে গ্যাসের সরবরাহ লাইন, রাইজার রয়েছে সেসব এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
মহানগরীর নয়াসড়কের বাসিন্দা শাহজাহান জানান, বাইরে থেকে বাসায় এসে গ্যাসের তীব্র গন্ধ পাই। পরে গ্যাসের পাইপগুলো সব চেক করি। পাইপের সংযোগস্থল রেঞ্জ দিয়ে টাইট করে দিই। তারপরও গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ দূর হয়নি। পরে আশপাশে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এলাকার অনেক জায়গা থেকেই এ ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্যাস লিকেজ থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
সিলেটের মদিনা মার্কেটের বাসিন্দা মুহিত জানান, সোমবার বিকেল থেকে বাসার সামনে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ পাচ্ছি। কোথাও গ্যাস লাইন লিকেজ হয়েছে, এমন সন্দেহ থেকে বাসার আশপাশের গ্যাস সঞ্চালন লাইন পরীক্ষা করে দেখি, কিন্তু কোনো লিকেজ পাননি। গ্যাস অফিসে কল দিয়েছি। তারা এসে অনুসন্ধান করেবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি সিস্টেম লিমিটেড সিলেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মনজুর আহমদ চৌধুরী জানান, সিলেটের অনেক লাইনে গ্যাসের লিকেজ রয়েছে। লিকেজের কারণেও অনেক বাসা বা প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের চাপ কমে থাকতে পারে। তা ছাড়া লিকেজ থেকে অগ্নিকাÐসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। গ্যাস গন্ধ এবং বর্ণহীন থাকার কারণে কোথাও গ্যাস লিকেজ হচ্ছে কি না তা বোঝা যায় না। লাইনের লিকেজ শনাক্ত করার জন্য গ্যাসের সঙ্গে অডরেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে এই গ্যাসের গন্ধ মানুষ পায়, বিষয়টি জালালাবাদ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। গন্ধের বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে কেউ অবহিত করলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করে লিকেজ বন্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া আমরাও যেখানে গন্ধ পাচ্ছি সেখানে লিকেজ শনাক্ত করছি। এ নিয়ে আকঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।