‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ সরকারের ১০০ কোটি টাকার অনুদান

3

কাজির বাজার ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে অংশ নেয় দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আন্দোলন দমনে কঠোর হয় গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার। সেই আন্দোলনে যেসব মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং যারা গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। সেই ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে একশ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার অনুদানের কথা জানান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অন্তর্র্বতী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভ‚ঁইয়া।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নিয়ে সাতটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি উদ্যোগ হচ্ছে, যারা অর্থ সংকটে ভুগছেন- তাদের জরুরি আর্থিক সহায়তা, এককালীন একটি ভাতা ও মাসিক ভাতা দেয়া হবে। এটা এই সপ্তাহেই আমরা শুরু করব।’
ফাউন্ডেশনের প্রতি সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে চেক তুলে দেয়া হয়েছে। আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা এই ফাউন্ডেশনে অনুদান দেয়ার জন্য।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা এরই মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি সব হাসপাতালে জানিয়ে দিয়েছে আহতদের ফ্রি চিকিৎসা দেয়ার জন্য। এ বিষয়ে আমরা হাসপাতালগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। একই সঙ্গে এরই মধ্যে যে সব আহত আন্দোলনকারী নিজেদের অর্থ ব্যয় করেছেন চিকিৎসার জন্য সে সব অর্থ তাদের ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা আহত এবং নিহত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনেও কাজ করছি।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’র সভাপতি অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সেক্রেটারি আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এ ছাড়া কাজী ওয়াকার আহমেদ কোষাধ্যক্ষ, উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভ‚ঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরো ১৪ জন সাধারণ সদস্য রয়েছেন।