কোম্পানীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযাগ তদন্তে দুই জেলার এসপির পরিদর্শন

9

কোম্পানীগঞ্জ সংবাদদাতা

কোম্পানীগঞ্জের পিয়াইন নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ তদন্ত করতে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার এসপি।
এসময় তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পিয়াইন নদীর বালুমহালের নির্ধারিত সীমানার বাইরে গিয়ে বালু তোলা যাবে না। শনিবার দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন। এসময় বালু মহালের জায়গা চিহ্নিতকরণ ও দুই উপজেলার মৌজা ও সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সহসাই উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তারা।
এর আগে লিজ বহিভর্‚ত জায়গা থেকে বালু তোলার অভিযোগ আনেন কোম্পানীগঞ্জের কাঁঠালবাড়ি গ্রামের উসমান খান ও স্থানীয় ভুক্তভোগী লোকজন।
উসমান খানের লিখিত অভিযোগে বলা হয়- চাটিবহর গ্রামের সুজন মিয়া ১৪৩১ বাংলা সনের জন্য শেরপুর ও নিজগাঁও মৌজার অর্ধেক অংশ বালু মহাল লিজ গ্রহণ করে। কিন্তু গত ৩ জুন থেকে এখন পর্যন্ত লিজ বহিভর্‚ত এলাকা জাহাজখালী, মরা গাং, বাইরং, কুত্তাখালী ও চইলতার ঢালা থেকে রাতের আঁধারে যন্ত্রদানব বোমা মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। যে কারণে এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশ হুমকির মুখে। অবাধে বালু তোলার ফলে নদীর তীরবর্তী সরকারি কাঁঠালবাড়ি শিমুলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িঘরসহ অনেক গ্রাম ও কয়েক শ’ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বালু মহাল পরিদর্শনকালে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বদিউজ্জামান, ছাতক থানার ওসি শাহ আলম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল মুত্তাকিন বাদশা, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী জিয়াদ আলী, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম, বশির আহমেদ মেম্বার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন আরিফ, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আজিজুল হকসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।