উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। সমস্যাসঙ্কুল পথ পাড়ি দিয়ে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে দেশ এখন শক্ত অবস্থানে। বিপরীত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির অপকর্মকে থামিয়ে যে মাত্রায় সামনে চলার পথকে ক্রমান্বয়ে প্রশস্ত করে যাচ্ছে, সেও এক অনন্য নজির। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মহাসন্ধিক্ষণে বাধা বিপত্তিকে তোয়াক্কা না করার এই অর্জন এক অবধারিত কর্মদ্যোতনা। যে গতিশীলতায় সারা দেশের উন্নয়নের মহাযজ্ঞ দৃশ্যমান, সেখান থেকে পেছনের দিকে তাকানোর সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশকে কখনও দাবিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। বিপদসঙ্কুল পথ বার বার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে তাকে নস্যাত করা ছাড়া কোন উপায় নেই। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে আমাদের অনেক লড়াই করতে হয়েছে। উন্নয়নের মহাপরিকল্পনাগুলো হরেক রকম সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের পথে। এই বিরল অর্জনের অংশীদার সারা দেশের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার আধুনিক ও প্রযুক্তির বাংলাদেশ তৈরির অঙ্গীকার মিলে মিশে একাত্ম হয়ে গেছে। বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সূচকে বিশ্বে এখন নজরকাড়া। এমনকি রোল মডেলও। সঙ্গতকারণেই আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল হয়েছে। যা দেশ ও জাতির জন্য পরম অর্জন ও গৌরবের বিষয়। সম্প্রতি জাতিসংঘে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বের কাতারে এসে যাওয়াকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হওয়াটাও বড় ধরনের সাফল্য। উত্তরণ পর্বের এই ঐতিহাসিক রেজ্যুলেশন সত্যিই এক অনন্য অর্জন। জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন, সবই উন্নয়নের সুবিশাল কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। উন্নয়নের ব্যাপক অর্জনও এত সহজসাধ্য ছিল না। যাত্রাপথকে অদম্য করতে হরেক রকম কৌশল নিতে হয়েছে। প্রতিপক্ষ শক্তির আন্দোলন, সমালোচনা, পরিস্থিতি ঘোলাটে করা সবকিছুকেই দৃঢ় মনোবলে অতিক্রম করতে পারাও বড় ধরনের সাফল্য। করোনা মহামারীও উন্নয়নের গতিশীলতায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারেনি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও নয়। সব সমস্যা-সঙ্কট মোকাবেলা সম্ভব হয়েছে সততা, নিষ্ঠা আর অসাধারণ কর্মদ্যোতনায়। বাংলাদেশ এখন ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে দুরন্ত বেগে ছুটে চলেছে।