শ্রমিকদের সুরক্ষা না দিলে দ্বিতীয় দফায় করোনা ঝুঁকি – আইএলও

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমার পর শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না করে কাজে ফেরালে দ্বিতীয়বার করোনাঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
মঙ্গলবার সংস্থাটির জেনেভা অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।
শ্রমিক ও মালিকদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় ঠিক করতে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
সংস্থাটি বলেছে, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি কমাতে সব শ্রমিকের জন্য ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং তাদের কর্মক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে দেশগুলো পুনরায় বড় আকারে ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমেই দ্বিতীয়বার ভাইরাসের ধাক্কার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।
বিবৃতিতে আইএলও মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, ‘পুরো কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বর্তমানে প্রধান কাজ। সংক্রামক রোগের ছড়িয়ে পড়ার এই সময়ে আমরা আমাদের শ্রমিকদের কীভাবে রক্ষা করছি, তার ওপর আমাদের কমিউনিটি কেমন থাকবে এবং মহামারি এগিয়ে চলার মধ্যে আমাদের ব্যবসায় কীভাবে টিকে থাকবে নির্ভর করছে।’
বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পটিআইনেন বলেন, ‘যেহেতু কিছু কিছু শিল্প ধীরে ধীরে কার্যক্রম শুরু করছে, আইএলও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিরাপদে কাজে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে একটি তিন ধাপের কৌশল তৈরি করেছে। প্রথম পদক্ষেপ হলো নিয়োগকারী ও শ্রমিকের মধ্যে আলোচনার ওপর ভিত্তি করে কাজের জন্য বেশ কয়েকটি সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ভাগ করে নেয়া।’
টুমো পটিআইনেন বলেন, ‘ভাইরাস প্রতিরোধে ও কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ রোধ করতে আইএলও শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) সঙ্গে মিলে একটি কোভিড-১৯ বিষয়ক নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করেছে। এ ছাড়া আইএলও আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের জন্য জীবিকা ভাতা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও আয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াও কাজ ভাগাভাগির মাধ্যমে কর্মসংস্থান ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে।’
শ্রমিকদের কাজে নিরাপদে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে এবং কাজের ক্ষেত্রে এই মহামারির সময়ে আরও বাধা এড়ানোর জন্য আইএলও কিছু সুপারিশও করেছে ওই বিবৃতিতে।