গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা
গোয়াইনঘাট থানা এলাকায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর টাস্কফোর্সের পৃথক অভিযানে ৩৬৯ বস্তা আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় চিনির চালানসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ও রাতে এ চিনিগুলো জব্দ ও চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে চালিয়ে শনিবার রাত জাফলং চৈলাখেল ৮মখন্ড ক্লাব সংলগ্ন পিয়াইন নদী দিয়ে পাচারকালে ১১৫ বস্তা চিনির চালানসহ আকবর আলীকে আটক করা হয়। আটককৃত আকবর আলী গোয়াইনঘাট থানার আলীরগাঁও ইউনিয়নের তিতকুল্লি গ্রামের আতাউর রহমান আতা ছেলে। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় ১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২৭।
গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম পিপিএম বলেন, চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধ প্রবনতাহ্রাসে থানা পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাফলং পিয়াইন নদীর চৈলাখেল থেকে ১১৫ বস্তা আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় চিনিসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের তামাবিল সোনা টিলা এলাকায় যৌথ বাহিনীর টাস্কফোর্সের অভিযানে ভারতীয় ২৫৪ বস্তা চিনি উদ্বার করা হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে গোয়ইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তামাবিল সোনাটিলা এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্বার করা হয়। পরে তামাবিল কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্বার হওয়া ভারতীয় চিনি ১১ লক্ষ ৮১ হাজার ১ শত টাকায় নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। এসময় তামাবিল সীমান্ত ফাড়িঁর বিজিবি’র কোম্পানী কমান্ডার শহিদুল আলম, গোয়াইনঘাট থানার এসআই ফখরুল ইসলামসহ বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো: সাইদুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে চোরাই পথে চিনি আমাদানী করে মজুদ করা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন বসত ঘর থেকে মজুদকৃত ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্বার করা হয়। সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।