স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে সকাল থেকে বৃষ্টি না থামলেও দুপুর গড়াতেই মেঘাচ্ছন্ন ছিলো আকাশ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হতে থাকে। রবিবার সিলেটে বৃষ্টি গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৬ মিলিমিটার। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সারাদেশে নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির পরিমাণও বেড়েছে। রবিবারও সারাদেশে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার সারাদেশের সব বিভাগেই বৃষ্টি হতে পারে। এসময় দেশের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ১৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ে। আর শনিবার ঢাকায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে, সিলেটসহ দেশের সব বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে সতর্কবাণী দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্ষণের কারণে কোথাও কোথাও ভ‚মিধসের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে। রবিবার আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ৩০ জুন বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভ‚মিধসের আশঙ্কা রয়েছে।