কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ব্রি-৪৯ জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষকরা এ সফলতা অর্জন করেন। এতে কৃষকের মুখে হাসির ঝলক দেখা যাচ্ছে। বুধবার সকাল ১১ টায় কমলগঞ্জ পৌর এলাকার গোপালনগর গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রি-৪৯ জাতের ক্ষেতের শস্য কর্তন করা হয়।
গোপালনগর গ্রামের সফল কৃষক ও সংবাদকর্মী সুব্রত দেবরায় সঞ্জয় এর ব্রি-৪৯ জাতের প্রদর্শনী ক্ষেতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শস্য কর্তন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দীন আহমদসহ কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
কৃষক ও সংবাদকর্মী সুব্রত দেবরায় সঞ্জয় বলেন, এ বছর তিন বিঘা জমিতে ব্রি-৪৯ জাতের ধান চাষাবাদ করেন। নিজের পরিচর্চা ও সময়মতো সার, কীটনাশক প্রয়োগ করার ফলে বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবছর আমন ক্ষেতে বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও উঁচু স্থান ও বন্যামুক্ত এলাকা থাকায় ফসলি মাঠে কোন সমস্যা দেখা দেয়নি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর কমলগঞ্জ উপজেলায় ৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে ব্রি-৪৯ জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়। ফলে ধান ক্ষেতের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষকরা ক্ষেতে বাম্পার ফলন দেখিয়েছেন। হেক্টর প্রতি ফলন ৪ দশমিক ৫৬ মে.টন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দীন আহমদ বলেন, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শের ভিত্তিতে ব্রি-৪৯ জাতের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার সবকটি স্থানেই এভাবে ধানের বাম্পার ফলন দেখা গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, এভাবে প্রত্যেককে কৃষি উৎপাদনে ভূমিকা রাখা উচিত। তাছাড়া খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে অনাবাদি সকল জমিতেও চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।