বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা
বিয়ানীবাজারে ট্রাকভর্তি চিনি ছিনতাই হওয়ার চারদিন পর চার ভাগের মধ্যে একভাগেরও কম চিনি এবং একটি পিকআপ ভ্যান মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর ওইদিন দিবাগত রাতে পুলিশের অভিযানে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার হোসাইনপুর গ্রামের মো. খলিল মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৬)। সে বর্তমানে বিয়ানীবাজার পৌরসভার দাসগ্রামের লিচুটিলাস্থ ছাত্তার মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে। অন্য আরেক আসামী হাসান (২১)। সে বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর বোবারগুল এলাকার মোস্তফা উদ্দিনের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত দুজনের মধ্যে মো. লিটন মিয়া ডাকাতি মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। বুধবার সকালে ধৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার ভোর ৬টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বিয়ানীবাজার অংশের চারখাই লালপুর এলাকায় সরকারি নিলাম থেকে কেনা বিয়ানীবাজারের নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর ২৪ লাখ টাকার ৪’শত বস্তা চিনি ও চিনি বহনকারী একটি ট্রাক অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলাজুড়ে ঝড় উঠে। চিনি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় সর্বত্র তোলপাড় শুরু হলেও ঘটনার চারদিন পর ৪’শ বস্তার চিনির বৈধ মালিক দাবি করা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ঘটনার সাথে জড়িত ১১ জনের নামল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। এরপরই পুলিশ একাধিক টিমে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার সুপাতলার আব্দুর রহমানের বসতবাড়ির পেছনে চারা বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮০ বস্তা চিনি এবং একই সাথে চিনি বহনকারি একটি পিকআপ ভ্যান নিদনপুর এলাকার তাজ উদ্দিন মিস্ত্রির বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে পৌরসভার দুটি স্থান থেকে ৮০ বস্তা চোরাই চিনি ও একটি পিকআপ ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভিযানের গোপনীয়তার স্বার্থে অধরা আসামীদের নাম আপাতত উল্লেখ করা হচ্ছে না। তবে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও অবশিষ্ট ৩২০ বস্তা চিনি উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।