মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নদী ও হাওরে পানি বেড়েই চলেছে। এতে জনমনে বন্যার আশঙ্কা বিরাজ করছে। যদিও এখন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবুও শঙ্কা যেন পানিবন্দি মানুষের পিছু ছাড়তে চাইছে না। ইতোমধ্যে উপজেলার নি¤œাঞ্চলের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানির আগমন ঘটেছে। কোথাও কিছু অংশ ডুবে গেছে। আবার কোথাও ডুবুডুবু করছে। তবে এখনো অবস্থা বেগতিক হয়নি। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মানুষজন। উপজেলার হাওর পাড়ের বাড়িঘর এমনিতেই বর্ষাতে পানিবন্দি থাকে। তারাও বন্যা মোকাবেলায় নিজ ঘরে উঁচু বাঁশের মাচা বানিয়ে বসবাসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে আবার নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। সমূহ বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
গত কয়েক দিন আগে জগন্নাথপুরে টানা বৃষ্টিপাত হলেও পানি তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি। তবে গত ২ দিন ধরে কোন বৃষ্টিপাত না হলেও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বাড়ছে। এতে আগাম বন্যার শঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
এর মধ্যে ৭ জুন শুক্রবার দেখা যায়, জগন্নাথপুর পৌর সদরে নলজুর নদীতে থাকা বিকল্প সেতুতে পানি উঠতে শুরু করেছে। সেতুর পূর্বপাড়ের এপ্রোচ সড়ক তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ রকম উপজেলার আরো বিভিন্ন স্থানে নি¤œাঞ্চল ডুবে গেছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে জানান। যদিও জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতি এখনো বিপদজনক হয়নি।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বাড়লেও বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম জানান, রাণীগঞ্জ বাজারের পশ্চিমগলিতে একটু পানি উঠলেও বিপদজনক নয়। চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল জানান, এখন পর্যন্ত আমার ইউনিয়ন এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক আছে। কলকলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মিয়া ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল হাসিম জানান, আমাদের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভালো আছে। আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ূব খান জানান, আমাদের এলাকায় পানিতে ডুবুডুব করলেও অবস্থা এখনো ভালো আছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা সহ সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেনি। আজ শুক্রবার একটু পানি বাড়লেও আশা করছি কাল শনিবার থেকে কমতে শুরু করবে। সব মিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।