বেশি মৃত্যু গাছ ও দেয়ালচাপায়

12

কাজির বাজার ডেস্ক

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের উপক‚লীয় ছয় জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল ও ভোলায় ৩ জন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মানুষ মারা গেছেন। কীভাবে এই ছয়জন মারা গেলেন তার বিবরণ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশালের বাকেরগঞ্জে দাড়িয়াল ইউনিয়নের চর দাড়িয়াল গ্রামের জালাল সিকদার (৫৫) মারা গেছেন বাজারে যাওয়ার পথে গাছের ডাল ভেঙে। বরিশাল শহরের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেয়াল ভেঙে হোটেলে কর্মরত অবস্থায় মারা যান মো. মোকলেছ (২৮) নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। একই জায়গায় একই কারণে একই হোটেলে কর্মরত লোকমান হোসেন (৫৮) নামে আরেক ব্যক্তি মারা গেছেন। তাঁর বাড়িও পটুয়াখালীতে।
ভোলায় যে তিন মারা গেছেন তাঁর মধ্যে জাহাঙ্গীর (৫০) মারা গেছেন গাছের চাপায় পড়ে। তাঁর বাড়ি জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের বাথানবাড়ী গ্রামে। দৌলতখান পৌর এলাকায় মাইশা (৪) নামে এক শিশু মারা গেছে গাছ চাপা পড়ে। এ ছাড়া লালমোহন উপজেলায় পশ্চিমচর উমেদি ইউনিয়নের মনেজা খাতুন (৫৪) মারা গেছেন টিনের ঘরের আড়ার নিচে চাপা পড়ে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বসত ঘরের ওপর গাছ পড়ে মারা গেছেন খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের গাওহড়া গ্রামের লাল চাদ মোড়ল (৩৬)। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের শওকত মোড়ল (৬৫) মারা গেছেন সাইক্লোন সেন্টারে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে। আর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপলী ইউনিয়নের কাওয়ার চর গ্রামের মো. শহীদ (২৭) মারা গেছেন জলোচ্ছ¡াসের পানিতে ডুবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন টেক্সটাইল জেড এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে দেয়াল ধসে ছাইফুল ইসলাম (২৬) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।