স্পোর্টস ডেস্ক :
ভারতীয় সাবেক তারকা অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান দাবি করেছেন নির্বাচকদের কারণেই তার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গেছে।
জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে ১৭৩ ম্যাচ খেলে বল হাতে ৩০১ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ২ হাজার ২১ রান সংগ্রহ করেন ইরফান। ভারতীয় এ প্রতিভাবান ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার মাত্র ৩০ বছর বয়সেই থেমে যায়।
সম্প্রতিক সুরেশ রায়নার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে ইরফান বলেন, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার থেকে ভারতের মানসিকতা একেবারে আলাদা। অস্ট্রেলিয়ায় ২৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মাইকেল হাসির। যখন সে ক্যারিয়ার শেষ করেছে, তখন অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু ভারতে ৩০ বছর বয়সে কোনো ক্রিকেটারের অভিষেক হওয়া অসম্ভব ব্যাপার! ওই বয়সের কাউকে নির্বাচকরা সুযোগই দেবে না।
২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইরফান পাঠানের। জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১২ সালে। এরপর তাকে আর দলে সুযোগ করে দেয়া হয়নি। যে কারণে চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন এ অলরাউন্ডার।
২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ইরফান। তিনি বলেন, ৩০ বছর বয়সেই নির্বাচকরা আমাকে বুড়ো বানিয়ে দিয়েছিল। বোর্ড ও নির্বাচকরা আমার ক্ষেত্রে নীরব থেকেছে। ওরা যদি বলত ইরফান, এক বছর নিজের সেরাটা উজাড় করে দাও, তারপর দেশের হয়ে আবারও খেলতে পারো, তাহলে নিশ্চিত দলে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতাম। কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।