কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে বিএসটিআই। লক্ষ্য আসন্ন পবিত্র রমজানে যাতে এসব প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো বাজারজাত করে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) তাগিদ দিয়ে ওই পত্র দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ইফতার ও সাহরির নিত্য মানুষের ব্যবহার্য মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত প্রতি বছর করে থাকে।
চিঠি দেওয়া বৃহৎ ২০ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে প্রাণ ফুডস লিমিটেড, শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (টিকে গ্রুপ), আকিজ ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড, সুপার অয়েল রিফাইনারি লি. (টিকে গ্রুপ), সিটি গ্রুপ, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্ট, তানভীর ফুডস লিমিটেড (মেঘনা গ্রুপ), বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, নিউজিল্যান্ড ডেইরি লিমিটেড, এসিআই গ্রুপ, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, বসুন্ধরা মাল্টি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আবুল খায়ের গ্রুপ, স্কয়ার ফুডস লিমিটেড, বাংলাদেশ সুপার শপ ওনার্স এসোসিয়েশন, বিডি ফুডস লিমিটেড, সুইস বেকারি ও সজিব কর্পোরেশন।
রমজান মাসে ইফতার ও সাহরিতে বহুল ব্যবহৃত হয় এ রকম পণ্য যেমন-ড্রিংকিং ওয়াটার/মিনারেল ওয়াটার, সফট্ ড্রিংকস পাউডার, ফ্রুট সিরাপ, ফ্রুট জুস, কার্বোনেটেড বেভারেজ, ঘি, লাচ্ছা সেমাই, নুডুলস, পাস্তুরিত তরল দুধ, আইসক্রিম, মুড়ি, ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল, ফর্টিফাইড সানফ্লাওয়ার অয়েল, ফর্টিফাইড রাইস ব্রান অয়েল এগুলো ১৮১টি পণ্যের অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ মান (বিডিএস) অনুযায়ী গুণগত মান পরীক্ষা করে বিএসটিআই থেকে এ সকল পণ্যের অনুকূলে মানসনদ (সিএম লাইসেন্স) গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু রমজানে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বিএসটিআই থেকে এসব খাদ্যপণ্যের অনুকূলে গুণগত মানসনদ (সিএম লাইসেন্স) গ্রহণ না করেই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য অবৈধভাবে বিক্রয় ও বিতরণ করে থাকে, যা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন আইন-২০১৮ অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।
উল্লেখ্য, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিএসটিআই’র ভ্রাম্যমাণ আদালত/সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম অব্যাহত আছে। রমজান উপলক্ষে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।