সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে শাবি শিক্ষকদের মৌনমিছিল

3

শাবি প্রতিনিধি

গত বুধবার (১৩ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহারের দাবিতে মৌনমিছিল এবং কালো ব্যাজ ধারণ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষকদের সংগঠন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌন মিছিল শুরু হয়। মৌন মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, অধ্যাপক ড. রেজাউল হাসান সুমন, অধ্যাপক ড. মো:রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড.খালিদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক অভিজীৎ চক্রবর্তী অয়ন, শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. লুৎফুল এলাহী কাউছার। এতে শাবিপ্রবির প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছেনা বিধায় মেধাবীরা এখন শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাচ্ছে, বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে মেধার পাচার হচ্ছে। এভাবে একটা জাতিকে মেধাশূণ্য করতেই এমন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে সিনিয়র শিক্ষকগণ দাবি করেন। শুধুমাত্র আমলাদের খুশি করতে এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলেও অনেক শিক্ষক দাবি করেছেন।
শাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর কবীর বলেন, সার্বিকভাবে শাবি শিক্ষক সমিতি মনে করে এই একচোখা প্রজ্ঞাপনটি শিক্ষকদের আত্মমর্যাদাকে চরমভাবে আঘাত করেছে। শিক্ষকদের অমর্যাদা, অবজ্ঞা, অবহেলা করে কোন জাতি তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। একই বেতনস্কেলে ভিন্ন ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত, সমৃদ্ধশালী আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনটি গভীর অন্তরায় বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে। শাবি শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা এবং গৌরব রক্ষায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান উৎকন্ঠা ও অসন্তুষ্টি লাঘব করার জন্য অনতিবিলম্বে প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৩ মার্চ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত (এস. আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪; তারিখ: ২৬ ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ/১০ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ”সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নূতন যোগদান করিবেন, তাহাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল।’