জগন্নাথপুর ও দিরাই সীমান্ত কামারখাল নদীতে বাঁশের সেতুতে চলাচল, পাকা সেতুর দাবি

6

মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পশ্চিমপ্রান্ত ও দিরাই উপজেলার পূর্বপ্রান্তের সীমান্তে রয়েছে কামারখাল নদী। এ নদীটি দুই উপজেলাকে ভাগ করে রেখেছে। নদীর জগন্নাথপুর অংশে নলুয়ার হাওর ও হাওর পাড়ে অবস্থিত ভ‚রাখালি, দাস নোয়াগাঁও সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বসবাস করছেন। নদীর দিরাই অংশে হালেয়া, টংগর, রাজনগর সহ অসংখ্য গ্রামের মানুষ বসবাস করছেন। এর মধ্যে নদীর ভ‚রাখালি খেয়াঘাট এলাকায় একটি পাকাসেতু রয়েছে। এ সেতু দিয়ে দুই উপজেলার মানুষ চলাচল করছেন। তবে ভ‚রাখালি সেতু থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দক্ষিণে রাজনগর এলাকায় সেতু না থাকায় স্থানীয়রা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রাজনগর দিরাই উপজেলায় হলেও এ গ্রামের অধিকাংশ কৃষক জমি আবাদ করেন জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরে। মাঝে রয়েছে কামারখাল নদী। নদী পার হয়ে তারা নলুয়ার হাওরে জমি আবাদ ও বৈশাখ মৌসুমে ধান বাড়িতে নিতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হন। ফলে এসব ভোগান্তি থেকে কিছুটা হলেও লাঘবের আশায় রাজনগর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে প্রতি বছর নদীতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারো কামারখাল নদীর রাজনগর গ্রাম এলাকায় বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ বাঁশের সেতু দিয়ে দুই উপজেলার মানুষ চলাচল করছেন।
১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দেখা যায়, নতুন বাঁশের সেতু দিয়ে স্থানীয়রা পারাপার হচ্ছেন। এ সময় কৃষক সেবুল মিয়া, প্রবীণ মুরব্বি নুর উদ্দিন সহ রাজনগর গ্রামের পথচারীরা বলেন, এ বছর ১৫০ মণ দেয়ার প্রতিশ্রæতিতে বাঁশের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। বৈশাখ মাসে গ্রামের সকল কৃষকরা মিলে এসব ধান দিবেন বাঁশের সেতু নির্মাণকারীকে। তারা আরো বলেন, এখানে একটি পাকাসেতুর অভাবে আমরা রাজনগর গ্রামবাসী যুগযুগ ধরে কষ্টে আছি। আমরা গরীব কৃষকরা মিলে প্রতি বছর ধান দিয়ে বাঁশের সেতু বানিয়ে কোন রকমে চলাচল করছি। তাই নদীতে একটি ছোট পাকাসেতু নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। জগন্নাথপুর উপজেলার দাস নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ইউপি সদস্য অনিল চন্দ্র দাস বলেন, দুই উপজেলার সীমান্ত এলাকার স্থানীয়দের ভোগান্তি লাঘবে নদীর রাজনগর এলাকায় একটি পাকাসেতু প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, নদীতে সেতুর জন্য মানুষজনের কষ্ট যাতে না হয়, দ্রæত ব্যবস্থা নিয়ে দেখছি।