কাজির বাজার ডেস্ক
৬ বছরে ১৮ লাখ বেড়ে বাংলাদেশের ৫ কোটি ২৭ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এর মধ্যে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের পাঁচ সংস্থার বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিসংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনটি গত বুধবার প্রকাশিত হয়। ৫ সংস্থার মধ্যে রয়েছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডবিøউএফপি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও)। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে তীব্র খাদ্য সংকটের কথা বলা হয়েছে। তবে খাদ্য সংকটের ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের খাবার ফুরিয়ে গেলে কোনো কোনো দিন অভুক্ত থাকতে হয়। এতে মানুষের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকিতে থাকে।
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেখা দেয় পুষ্টিহীনতা। প্রতিবেদন অনুযায়ী পাঁচ বছর বয়সী ৩৯ লাখ শিশু পুষ্টির অভাবে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির প্রভাবে মানুষের আয়ের ওপর প্রভাব পড়ছে। যার কারণে ১২ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ যোগ হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে যে হারে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা উন্নীত হচ্ছে, তাতে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব তো নয়ই, উল্টো এই সময়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আরও ৬০ কোটি বাড়বে।
আরো বলা হয়, ২০২০-২০২২ সালের মধ্যে দেশে মাঝারি থেকে তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় পাঁচ কোটি ২৭ লাখ মানুষ ছিল। ২০১৪-২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল পাঁচ কোটি ৯ লাখ। মাঝারি মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকা মানুষ বাড়লেও তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের সংখ্যা কমেছে।