তাহিরপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎের ছেড়া তারে জড়িয়ে দু-শিশুসহ তিনজন আহত ও একটি গাভীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এই গ্রামের শিশু মিয়ার বাড়িতে ছেড়া তার লেগে ঘরে আগুনে পুড়ে যায়। এতে দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন, ডা. কামাল উদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০), মেয়ে সিনহা আক্তার(৩) ও ডা. নজরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (৬)। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ করে জানান, গত একমাস ধরে বাদাঘাট ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দারা তাদের গ্রামের সাথে থাকা পল্লী বিদ্যুতের পিলারে একটি তার পিলারের সাথে নাম মাত্র অবস্থায় লাগানো আছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎতে লাইনম্যান যারা আসেন তাদেরকে বার বার হলেও গ্রামবাসীর কথা না চলে যায়। তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আর জানালেই বলে কিছুই হবে না।
পরে আজ শুক্রবার সকালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়ে একটি গরু ঘাস খাওয়া অবস্থায় শরীরে লাগলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হলে মারা যায়। এই দৃশ্য দেখে গুরুর মালিক নজরুল ইসলাম ছেলে সহ ডা. কামাল উদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০), মেয়ে সিনহা আক্তার বাঁচাতে গেলে তারা বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আহত হয়। পরে গ্রামের বাসিন্দারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে।
ডা. নজরুল ইসলাম জানান, পল্লী বিদ্যুৎতে অবহেলায় আজ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমি সহ গ্রামের বাসিন্দা বার বার লাইনম্যানকে বলার পরও অবহেলা করে। আমরা যখন বলেছিলাম তখন মেরামত করলে এমনটা হত না। আজ যে ঘটনাটি ঘটেছে এর চেয়ে বেশি ঘটতে পারত। আমার ১লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভী মারা গেছে। আহত হয়েছে আমার ছেলেসহ তিনজন।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জানান, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুই শিশুসহ তিন জন আহত হবার খরব পেয়েছি।
এ বিষয়ে পল্লী অফিসের তাহিরপুর উপজেলার দায়িত্ব থাকা একরাম হোসাইন জানান, আমাদের কাছে ঐ গ্রামের কেউই লিখিত ভাবে বা ফোনেও কোনো অভিযোগ করেননি। এখন তারা অভিযোগ তুলছেন। বিষয়টি শুনে ঘটনা স্থলে যাচ্ছি। পরে প্রয়োজন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।