জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটে একই দিনে মহিলাসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার

6

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটে একদিনে মহিলাসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে ২জন পুরুষ ও ৬ সন্তানের এক জননী রয়েছেন।
জৈন্তাপুর উপজেলায় ধান ক্ষেত থেকে পাথর ব্যবসায়ী এবং কানাইঘাট উপজেলার পল্লী এলাকা থেকে মহিলার ঝুলন্ত লাশ ও সুরমা নদী থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়। একদিনে ৩ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সিলেট জুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
জৈন্তাপুর সংবাদদাতা জানান, নিখোঁজের ৩/৪ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ১নং লক্ষীপুর প্রথম খন্ড এলাকার একটি ধানক্ষেত সংলগ্ন নালা থেকে মোহাম্মদ আলী (৩৫) নামের এক পাথর শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। মোহাম্মদ আলী আসামপাড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা। তাঁর মূল বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। তার পিতার নাম দুখু ফকির। তিনি দীর্ঘদিন থেকে জৈন্তাপুর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে স্থানীয় এক মহিলাকে বিয়ে করে বসবাস করছিলেন। ৩ সন্তানের জনক মোহাম্মদ আলী পেশায় পাথর শ্রমিক ছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রথমে স্থানীয় এক মহিলা ঘাস আনতে গিয়ে জমির নালার পানিতে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজনকে জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে কানাইঘাট সংবাদদাতা জানান, কানাইঘাটে একই দিনে এক বৃদ্ধ ও এক মহিলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে নারাইনপুর আগফৌদ গ্রামে ৬ সন্তানের জননী মাসুদা বেগম (৪৫) এর গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। মাসুদা বেগম নারাইনপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি ৪ ছেলে ও ২ কন্যা সন্তানের জননী।
জানা যায়, ইফতারের আধঘন্টা পূর্বে মাসুদা বেগমের গলায় ওড়না প্যাঁচানো লাশ রান্না ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাত ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহত মাসুদার স্বামী ইসলাম উদ্দিন কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মাসুদা বেগমের সাথে স্বামী ইসলাম উদ্দিনের পারিবারিক ঝগড়াঝাটি সব-সময় লেগে থাকত বলে তারা জানান। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নিখোঁজের ৬ঘন্টা পর কানাইঘঅট উপজেলার নক্তিপাড়া গ্রাম সংলগ্ন সুরমা নদীর পানিতে নিখোঁজ আব্দুর রব (৬০) এর লাশ ভেসে উঠে। তিনি উপজেলার দিঘীরপাড় পূর্ব ইউপির দর্পনগর পশ্চিম (নয়াগ্রাম) এর বাসিন্দা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বৃদ্ধ আব্দুর রব তার কয়েকটি গরু মমতাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সুরমা নদী পার করার সময় নদীর পানিতে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে স্থানীয়রাসহ গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সুরমা নদীর আশপাশে তল্লাশী চালিয়ে তার সন্ধান পায় নি। নিখোঁজের প্রায় ৬ঘন্টা পর বিকেল ৪টার দিকে সুরমা নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে। পরে কানাইঘাট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে আব্দুর রবের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।