স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪১৩ জনে। একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে আরও ৭৪ জনের শরীরে। এছাড়া এই ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে হাসপাতালে ও বাড়ি চিকিৎসাধীন আরও ৭১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। এদের নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ হাজার ৮৯১ জনে। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৫ হাজার ২১ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৮২৮ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৫১০ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৫৩২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে শনাক্ত হওয়া ৭৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ৩৬ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় ৪ জন, হবিগঞ্জে ২ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ২৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৯ জন রোগীর শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
একইদিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ৭১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যাদের ৬৬ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। ১ জনের সুনামগঞ্জে ও ৪ জনের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। এনিয়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২১ হাজার ৪৬৭জন। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৪ হাজার ৩২৪ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৭৩১ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৭২ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৩৪০ জন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন রোগী। যারা সকলেই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বিভাগে মৃত্যুবরণ করা মোট রোগীর সংখ্যা ৪১৩ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৩৩৫ জন, সুনামগঞ্জে ৩০ জন, হবিগঞ্জে ১৮ জন এবং মৌলভীবাজারের ৩০ জন।
এদিকে সিলেটের ৪ জেলা মিলে ২৩৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের ২২০ জনই সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে, সুনামগঞ্জে ২ জন হবিগঞ্জে ১০ জন ও মৌলভীবাজারে ৭ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৩৯ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। যাদের সকলেই সিলেট জেলায় রাখা হয়েছে।
