স্টাফ রিপোর্টার :
বিয়েতে আসার পথে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তেতলিতে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস বাস এবং প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পরিবারের সাম্য দে (১০) নামে এক মেয়ে শিশু নিহত ও শিশু ও নারীসহ অনন্ত: ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হাবিব হোসেন এন্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের সামনে এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত সাম্য মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কমলাকলস গ্রামের সন্তোষ দে’র মেয়ে। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার ও এমএজি ওসমানী হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশের সদস্য মো. জনি চৌধুরী।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, প্রাইভেটকারের যাত্রী মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কমলাকলস এলাকার সন্তোষ দে, তার স্ত্রী রিতা দে, মেয়ে বৃষ্টি (১৫) ও মৌ দে (৫)। অপর আহতরা হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস নামের বাসের যাত্রী। তাদের অবস্থা তেমন গুরুতর নয় বলে জানা গেছে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তেতলির হাবিব হোসেন এন্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের সামনে বিপরীতমুখী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৩০৮৬) ও প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো-গ-১৫-৭৬৬৬) মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের সামনের দিক দুমড়েমুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতাল এবং নর্থইস্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার জানান, সন্তোষ দে পরিবার নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে মৌলভীবাজার থেকে সিলেটের মেজরটিলা এলাকায় একটি বিয়েতে আসছিলেন। দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকায় আসার পর সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া হবিগঞ্জগামী হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের সঙ্গে প্রাইভেটকারটির মুখোমুখি হয়। এতে প্রাইভেটকারে থাকা ৬ জন গুরুতর আহত হন। এছাড়া বাসের কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাম্য দে নামের ১০ বছর বয়সী শিশুটিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।