ছাতকে টোল আদায়ের প্রতিবাদে ট্রাক-পিকআপের ধর্মঘট

7

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
সুনামগঞ্জের ছাতক শহরে টোল আদায়ের প্রতিবাদে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ ও ক্যাভার্ড ভ্যান শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের রহমতবাগ এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ ও ক্যাভার্ড ভ্যান শ্রমিকরা সড়কের পাশে গাড়ী দাড় করিয়ে রেখে ধর্মঘট শুরু করেছেন। ধর্মঘটের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শত শত পন্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
জানা যায়, ছাতক ট্রাক-পিকআপ ও ক্যাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ শহরে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে পৌরসভা কর্তৃক ইজারা প্রদানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আন্দোলন-সংগ্রাম করেও কোন সুরাহা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা ট্রাক-পিকআপ, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। ওই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটি বেঞ্চ গত ২১ এপ্রিল প্রদত্ত এক আদেশে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন এবং ছাতক পৌরসভা কর্তৃক বেআইনী টোল আদায়ের ব্যাপারে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে গত ২ আগষ্ট উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের এক আদেশে টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিনের উপস্থিতিতে একদল পুলিশ টোল আদায়কারীদের টং ঘরটি গুড়িয়ে দেন। টোল আদায়কারী ইজারাদার পক্ষ আবারও সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট করায় বিজ্ঞ আদালত ট্রাক-পিকআপ ও কভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির পক্ষে দায়ের করা রিটের পূর্বের রায়ের উপর সম্প্রতি ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ প্রদান করেছেন। এদিকে, গত দু’দিন ধরে শহরের প্রবেশ পথে আবারও পণ্যবাহী গাড়ী থেকে টোল আদায় শুরু করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ট্রাক-পিকআপ ও ক্যাভার্ড ভ্যানের চালকরা। শ্রমিক ও মালিক নেতৃবৃন্দ জরুরী বৈঠক করে ধর্মঘট সকাল থেকে শুরু করেন।
পণ্যবাহী শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাতক পৌরসভা কর্তৃক দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথের রাস্তায় বাঁশকল স্থাপন করে এসড়কে চলাচলকারী ট্রাক, পিকআপ, ক্যাভার্ড ভ্যান থেকে বেআইনী ভাবে টোলের নামে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আমরা টোল আদায় বন্ধে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের একটি নির্দেশে টোল আদায় বন্ধ করা হয়েছিলো। টোল আদায়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে ৮ সপ্তাহে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। যে কারণে নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি পণ্যবাহী শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে সমাধানে আলোচনা করা হবে।