স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। দীর্ঘ এক বছরে (চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সিলেট মহানগরীতে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছেন ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৫ জন। আর প্রথম, দ্বিতীয়, বুস্টার ও ‘জনসন এন্ড জনসন’র একমাত্র ডোজসহ সব মিলিয়ে ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৯ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সিসিক সূত্র জানায়, গত সোমবার সিলেটে শেষ হয় তিনদিনের বিশেষ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে টিকা নিয়েছেন মোট ৭৮ হাজার ৮১৭ জন। তবে এর মধ্যে সিলেট সিটি করপােরেশনের বাইরের নাগরিকও রয়েছেন। তিন দিনের এই ক্যাম্পেইন শেষে সিলেট মহানগরীর জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষকেই প্রথম ডােজ টিকার আওতায় আনা গেছে বলে মনে করছে সিসিক।
সিলেট সিটি করপােরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার পর্যন্ত সিলেটে সিটি করপোরেশন ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৫ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দিয়েছে। তবে এর মধ্যে দেড় লাখ মানুষ রয়েছেন যারা সিটি করপোরেশনের বাইরের বাসিন্দা। প্রবাসী অধুষ্যিত সিলেটে মডার্না, ফাইজারের টিকা গ্রহণে আগ্রহ থাকায় অনেক উপজেলা থেকে সিটি করপােরেশনের টিকাকেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন অনেকে। কারণ- শুধু সিলেট সিটি করপােরেশন এলাকায় এ সব টিকা দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯৫ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
সিলেট সিটি করপােরেশনের আওতায় প্রথম ডোজের মোট টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে অক্সফোর্ডে অ্যাস্ট্রাজেনেকার (কোভিশিন্ড) টিকা নিয়েছেন ৬৩ হাজার ৫২২ জন, সিনােফার্মার টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৮১৩ জন, মডার্নার টিকা ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৭ জন, ফাইজারের টিকা ২ লাখ ২৫ হাজার ৮৮১ জন, সিনোভ্যাকের টিকা নিয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৮৪ জন ও জনসন অ্যান্ড জনসের টিকা নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০৮ জন।
এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৪২ জন দুই ডোজ ও ৪৫ হাজার ৬৪২ জন বুস্টার ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন।
সিসিক সূত্র আরও জানায়, সিলেটে সর্বশেষ তিনদিনব্যাপী টিকা কার্যক্রমের মাধ্যমে সিটি করপোরেশন এলাকার ৭৯ হাজার ৮১৭ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জনসনের টিকা ৪৫ হাজার ৬৮ জনকে, ফাইজারের টিকা ২৬ হাজার ২৭৭ জনকে, সিনোভ্যাকের টিকা ৭ হাজার ৩৫২ জনকে ও অক্সফোর্ডে অ্যাস্ট্রাজেনেকার (কোভিশিন্ড) টিকা ১ হাজার ১২০ জনকে।
মহানগরীতে শতভাগ মানুষ টিকার প্রথম ডোজের আওতায় না আসা পর্যন্ত বন্ধ হচ্ছে না প্রথম ডোজ। এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম ডোজের টিকা এখনই বন্ধ হচ্ছে না। যারা প্রথম ডোজ নেননি তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।