শাবি থেকে সংবাদদাতা :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাত ৯ টার দিকে শাহপরাণ হলে অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটে। শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান ও ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান স্বাধীনের গ্রুপে অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টা থেকে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের তাদের ব্যাচের ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের জন্য মাঠ প্রস্তুত করছিলেন। সন্ধ্যার পর খেলার মাঠের গ্যালারীর দক্ষিণ পাশের একটি জায়গায় রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইফাত এবং সে তার প্রেমিকাকে নিয়ে দাড়িয়েছিলেন। এসময় পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও সজীবুর রহমানের সমর্থক মিলিনিয়াম ও সাব্বিরসহ তার অন্যান্য সহপাঠীরা ইফাতদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে ইফাত তার বন্ধু ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও মেহেদী হাসান স্বাধীনের সমর্থক ফারদিন কবিরকে কল দেন এবং তাদেরকে আসতে বলেন। পরবর্তীতে ফারদিনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন এসে মিলিনিয়াম ও তার সহপাঠীদের মারধর করেন। তাদেরকে তাড়া করে হলে পাঠান। পরবর্তীতে সজীবের সমর্থকরা শাহপরাণ হলে গিয়ে ফারদিনকে মারধর করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাধীন গ্রুপের অনুসারী ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফারদিন কবীর বলেন, আমি মেডিকেলে আছি। আপাতত ঘটনার বিষয়ে একটু পরে কথা বলছি।
সজীবুর রহমান গ্রুপের রাফিউম মিলেনিয়াম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সজীবুর রহমান গ্রুপের অনুসারী মিলেনিয়াম ও তার সহপাঠীরা মিলে টুর্নামেন্টের জন্য মাঠে কাজ করছিল। এমন সময় একজন মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে চাইলে আমরা মানা করি। পরে ওরা স্বাধীন গ্রুপের ফারদিন কবিরের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন তাদের ধাওয়া করে মারধর করেন।
এ বিষয়ে সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান বলেন, দুপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান স্বাধীন বলেন, আমি ঢাকায় আছি। বিস্তারিত ঘটনা সম্পর্কে জানিনা।
শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড মিজানুর রহমান খান বলেন, হলের বাহিরের ঘটনা হলে এসে ঝামেলা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।