লাখাইয়ে ৩ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক আহত

21

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের বেলেশ্বরী মেলায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তিন গ্রামবাসীর ৩ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে এক মহিলার মৃত্যুর খবর নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালে মেলার দোকানপাটে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। স্থানীয় লোকজন প্রাণভয়ে দিগি¦দিক ছুটাছুটি শুরু করেন।
আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেলায় জুয়ার বোর্ড বসানোর সময় লাখাই থানা পুলিশ বাধা দেয়। শুধু তাই নয়, এক জুয়ারীকে পুলিশ আটক করে। পুলিশের কাছ থেকে জুয়াড়িকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে অন্যান্য জুয়াড়ীরা। এ সময় জুয়াড়ীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে করাব, আষেঢ়া ও ফান্দ্রাইল গ্রামের কতিপয় লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে লাখাই ও হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মেলায় পান দোকান ব্যবসায়ী আষেঢ়া গ্রামের মধু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম (৫৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাদিসা বেগমের ছেলে সৈয়দ মিয়ার দাবি তার মা সংঘর্ষের সময় নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাদিসা মারা গেছেন। এ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন লাখাই থানার কনস্টেবল সজিব (২৫), হাসান মিয়া (২৪) ও মাসুদ রানা (২৫)। এছাড়া ওই এলাকার আব্দাল মিয়া (২৭), শিষ আলী (৯০), ইউসুফ মিয়া (৮০), বরকত উল্লা (৫০), আছকির মিয়া (৪০), শাহীন মিয়া (২৫), রহমত উল্লা (৫০) কে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রফিক মিয়া (৫০) কে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও লাখাই থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।