ধূমপানের ফলে শরীরের তন্ত্রগুলির উপর কুপ্রভাব পড়ে –ব্রিগেডিয়ার (অব.) এ মালিক

2
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে অগ্রগতি শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন ব্রিগেডিয়ার (অব) এ মালিক।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) সিলেট শাখা এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে অগ্রগতি শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মোঃ আমিনুর রহমান লস্করের সভাপতিত্বে এবং পাবলিসিটি সেক্রেটারি আবু তালেব মুরাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) এ মালিক। প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হলে তা প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন ধূমপান এবং তামাক পাতা ও জর্দ্দা সেবনে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গে আমাদের যে ক্ষতি করে, তা থেকে আমাদের মুক্ত থাকার জন্য আমরা যদি আন্দোলন গড়ে তুলি, তাহলে নির্ধিদায় বলতে পারি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বাংলাদেশ একটি তামাক মুক্ত দেশ হিসেবে পরিণত হবে। ব্রিগেডিয়ার মালিক বলেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে, দল-মত নির্বিশেষে আমাদের কাজ করতে হবে, তিনি বলেন সচেতনতা ও মূল্যবোধ বাড়াতে হবে এবং সিগারেট ও তামাক পাতা আস্তে আস্তে গ্রাহক কমাতে হবে, পাশাপাশি আইন আছে তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা উচিত।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা. শেখ মোঃ মাহবুবুস সোবহান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় পৌনে চার কোটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ। তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যান্সার, বক্ষব্যাধি এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শেখ শহীদ উল্লাহ, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এবং সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে মতামত ব্যাক্ত করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ এএইচএম মিসবাহুল ইসলাম, এমএজি ওসমানী হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের রেজিষ্টার ডা. প্রশান্ত সরকার সহ বিএমএ, সিলেটের সদস্যবৃন্দ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী (বাহার) এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটের উপ-পরিচালক ডা. মোঃ আব্দুল মুনিম চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি