কাজিরবাজার ডেস্ক :
সোমবার কায়াহ রাজ্যের ডেমোসো টাউনশিপে কারেনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সম্মিলিত বাহিনী একটি গ্রামে সেনাদের ওপর আক্রমণ করলে একজন সিনিয়র অফিসারসহ পনের জন সামরিক সৈন্য নিহত হয় বলে জানা গেছে।
ইরাবতীর খবরে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় কারেনি রেভোলিউশন ইউনিয়ন (কেআরইউ) এবং ডেমোসো পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এর যোদ্ধারা ডেমোসো টাউনের বাইরে কোনেথার গ্রামের স্কুল ও মঠে অবস্থান করা ৬৬ ডিভিশনের ৭০ জন জান্তা সৈন্যের ওপর হামলা করেছিল।
কেআরইউ-এর এক মুখপাত্র বুধবার ইরাবতীকে বলেছেন, প্রতিরোধ যোদ্ধারা খুব কাছ থেকে জান্তা সৈন্যদের ওপর আক্রমণ করেছে। এতে একজন কর্নেলসহ ১৫ জন সৈন্য নিহত হয়। প্রতিরোধ যোদ্ধারা জান্তা সৈন্যদের মুখে ‘তাদের সিনিয়র অফিসার নিহত হয়েছে’ এমন কিছু বলতে শুনেছে এবং সংঘর্ষ থেকে পিছু হটতে দেখেছে।
সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে, বুধবার কিছু মিডিয়া জানিয়েছে, ৬৬ ডিভিশনের অধীনে লাইট ইনফ্যা›িট্রো ব্যাটালিয়ন ৬ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল অং কো ওও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
তবে, তাদের বাহিনী মৃত কর্মকর্তার পদমর্যাদা নিশ্চিত করতে পারেনি বলে জানিয়েছে কেআরইউ।
সংঘর্ষের পর সামরিক বাহিনী ভারী অস্ত্র দিয়ে এলাকাটিকে লক্ষ্যবস্তু করে এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জান্তা সৈন্যদের পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার করতে বাধা দেয়। সংঘর্ষে আহত হয়ে মঙ্গলবার সকালে খুন সোয়ে পাইং থু নামের এক কেআরইউ যোদ্ধা মারা যান।
যুদ্ধের পর জান্তা সৈন্যরা কোনেথার গ্রাম ত্যাগ করে। সামরিক সরকার প্রথম দিকে এখানে সেনা মোতায়েন করার পর গ্রামের বাসিন্দারা কয়েক মাস আগে পালিয়ে।
সংঘর্ষের পর, কেআরইউ সমান্তরাল জাতীয় ঐক্য সরকার এবং দেশ-বিদেশে মিয়ানমারের জনগণকে গোলাবারুদ সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়ে বলে, ‘আমরা নিজেদের সমর্থন করতে পারি, কিন্তু আমরা গোলাবারুদ ছাড়া যুদ্ধ করতে পারি না।’
মঙ্গলবার, কায়াহর লোইকাও টাউনশিপে সাত সামরিক শাসক সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে যখন কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স এবং সে›ট্রোাল রিজিয়ন স্পেশাল অপারেশন ফোর্স (সিআরএসওএফ) এর স্নাইপাররা টাউনশিপের একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থানরত জান্তা বাহিনীকে আক্রমণ করেছিল।
সিআরএসওএফ জানিয়েছে, সরকারি সেনারা মেশিনগান ও মর্টার ফায়ার দিয়ে আক্রমণের জবাব দিলেও প্রতিরোধ যোদ্ধারা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পিডিএফ এবং জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনের হামলায় মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী দেশব্যাপী প্রতিদিন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।