বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
এক ঘন্টার অভিযানে বিশ্বনাথের দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বিস্ফোরক দ্রব্য ও দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বনাথ বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম রুহেল ও তাহিদ মিয়া। বড়তলা গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম রুহেল অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আর আলাপুর গ্রামের বাসিন্দা তাহিদ মিয়া দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টারদিকে নাজমুল ইসলাম রুহেলকে এবং সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাহিদ মিয়াকে তাদের নিজনিজ বাড়ি থেকে এসআই স্বাধীন সরকারসহ থানার একদল পুলিশ সাদা পোষাকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেন। এরআগে ওই মামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নূর উদ্দিন ও হাজী আব্দুল হাইকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত সাড় ৮টারদিকে হাঠাৎ করে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরনো বাজারস্থ অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ড, নতুন বাজারস্থ লাইটেস ষ্ট্যান্ডসহ একই সময়ে চারস্থানে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও রাতভর উপজেলাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। পরে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে থানা পুলিশের এসআই সবুজ কুমার নাইডু বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে জামায়াত-বিএনপির অজ্ঞাতনামা ৭০জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ০১)।
গ্র্রেফতারের বিষয়ে সত্যতা জানিয়ে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়েরকৃত মালায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে এবং শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর কথাও জানান তিনি।