সিলেটে এক আসামীকে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সিলেট। বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) আসামির এক বছরের সাজা স্থগিত করে সিলেটের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাউছার আহমেদ প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন।
২০২০ সালের ৩০ আগষ্ট ৭ আমর্ড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান সিলেট কর্তৃক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগর থানার ১৯ মাইল কালারাইল বাজারস্থ স্কাই টাওয়ারের সামন থেকে তাকে দেড় কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ওই আসামি হলেন সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানার পশ্চিম সিরাজ নগর গ্রামের মো. আব্দুল্লা মিয়ার ছেলে মর্তুজা মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি মর্তুজা মিয়াকে দেড় কেজি গাঁজাসহ পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ওসমানীনগর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। যার নং ৮৭/২০২০। মর্তুজার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাঁকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সময় মর্তুজাকে দোষী সাব্যস্থ করা হয় এবং তার বয়স, লিঙ্গ ও নিজেকে সংশোধনের আগ্রহ এবং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রকৃতি ইত্যাদি বিবেচনায় অত্র আদালত তাকে দন্ড ঘোষণার পরিবর্তে দি প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিনেন্স, ১৯৬০ এর ৫ ধারার বিধানমতে এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশনে মুক্তি দেওয়া হয়।
৮টি শর্তে আসামীকে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়া হয়- (১) আসামী প্রবেশন কর্মকর্তা সঙ্গে আইনানুগ নির্দেশনা মেনে চলা (২) আসামী তার ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে প্রবেশন কর্মকর্তাকে অবহিত করা, (৩) প্রবেশন সময়ে কোন অপরাধে না জড়ানো, (৪) সংশোধনপূর্বক সৎ, পরিশ্রমী এবং আইনমান্যকারী হিসেবে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, (৫) মূল্যবোধ বিরোধী কোন কাজে নিজেকে লিপ্ত না রাখা, (৬) প্রবেশন সময়ে কোন অপরাধ না করা এবং শান্তি ও উত্তম আচরণ বজায় রাখা, (৭) আদালত কর্তৃক আসামীকে তলব করা হলে যথা সময়ে উপস্থিত এবং দণ্ড প্রদান করা হলে তা ভোগ করা, (৮) নিজেকে সংশোধনপূর্বক সৎ, পরিশ্রমি এবং আইনমান্যকারী ব্যক্তি হিসেবে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজ ধর্মীয় অনুশাসন কঠোরভঅবে অনুসরণ করা।
আসামী প্রবেশনে থাকালীন সময়ে কোন শর্ত ভঙ্গ হলে তার প্রবেশনের আদেশ বাতিল করা হবে এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এ ধারা ৩৬(১) এর ১৯(ক) মোতাবেক দন্ড ঘোষনা করা হবে। আসামি ওই সব শর্ত মানছেন কি না, জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর আদালতে প্রতিবেদন দেবেন। বিজ্ঞপ্তি