সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ॥ ভোলায় বিএনপির মিছিলে পুলিশী হামলা ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হত্যার পরিণতি ভালো হবে না

11
ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার মধ্যরাতে ভোটচুরি করে বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় ঠিকে রয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায় সরকারের প্রতি সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি দুর্নীতি ও লুটপাট করে জাতির ঘাড়ে লোডশেডিং নামক বিড়ম্বনা চাপিয়ে দিয়েছে। দেশে নজিরবিহীন লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে জনস্রোত দেখে সরকারের পায়ের তলার মাঠি সরে যেতে শুরু করেছে। তাই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপির গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। এর অংশ হিসেবে রবিবার সকালে ভোলায় জেলা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের নগ্ন হামলা, নির্বিচারে গুলীবর্ষণ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরিনতি ভালো হবেনা। ভোলায় বিএনপি নেতাকর্র্মীদের রক্ত বৃথা যাবেনা। ফ্যাসিস্ট সরকারকে এজন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে।
তিনি রবিবার বিকেলে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নির্বিচারে গুলীবর্ষণ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মিছিলটি নগরীর কোর্টপয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টাস্থ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম ও জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুরের যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব কাদির শাহী, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ ও সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক একেএম তারেক কালাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুহিনুর আহমদ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহনেওয়াজ বখত তারেক, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মকসুদ আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দেওয়ান জাকির হোসেন খান, মহানগর সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, বিএনপি নেতা শাকিল মোর্শেদ, বুরহান উদ্দিন, মুহিবুর রহমান মুহিব, মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তুরণ, শাহ মাহমদ আলী, জাহেদ আহমদ, সোহেল ইবনে রাজা, আকবর আলী, হাজী পাবেল, রায়হানুল হক, আব্দুল মজিদ, আলী আব্বাস, শামসুর রহমান সুজা, নুরুল আমীন, জয়নাল আবেদীন ও জুবেল আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি