বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
তাহিরপুরের হাওর বাওরে অবাধে চলছে পোনা মাছ নিধন। এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্য শিকারী দিনে কিংবা রাতে কারেন্ট জাল, বেড়জাল, প্লাস্টিক ছাই দিয়ে পোনা মাছ নিধন করে বিক্রি করছে স্থানীয় হাট বাজারে। উপজেলা মৎস্য অফিস কিংবা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ষা মৌসুমে দু একদিন অভিযান পরিচালনা করা হলেও কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই। অবাধে পোনা মাছ নিধনের ফলে একদিকে হাওর যেমন মাছ শূন্য হচ্ছে তেমনি দেশী প্রজাতির মিঠা পানির মাছের বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটছেও হাওর থেকে।
উপজেলার মাদার ফিসারিজ খ্যাত টাঙ্গুয়া হাওর সহ মাটিয়ান, শনি, মহালিয়া, সমসা, চুনখলা হাওর বিভিন্ন হাওরের আনাছে কানাছে ও নদী নালায় ঘুরে দেখা যায়, এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্য শিকারী বেড়জাল, কারেন্ট জাল, চায়না ছাই দিয়ে বিভন্ন প্রজাতির পোনা মাছ নিধন করছে। অনেকে প্রশাসেেনর চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের আলোতে মাছ ধরতে না গিয়ে রাতের বেলায় হাওর জলাশয়ে মাছ ধরছেন।
স্থানীয় হাওর পারের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন জানান, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ সহ আশ পাশের সকল হাওর জলাশয়, পুকুর সহ সবকিছু ডুবে যায়। সে সময় ডুবে যাওয়া পুকুর থেকে মৎস্য চাসীদের চাষকৃত পোনা মাছ হাওর জলাশয়ে ছড়িয়ে পরে। আর ছড়িয়ে পরা পোনা মাছ ইচ্ছেমত শিকার করে অসাধু শিকারীরা তাদের ইচ্ছেমত দেদাড়ছে বিক্রি করছেন হাটবাজারে।
উপজেলা সদর বাজার, আনোয়রপুর বাজার, সোলেমানপুর বাজার, কাউকান্দি বাজার, নতুন বাজার, শ্রীপুর বাজার সহ সকল হাট বাজার গেলে চোখে পরবে ঘনিয়া, সিলবারকাপ, মৃগেল, কাতল, বোয়াল, রুই সহবিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা বিক্রি করছেন মাছ বিক্রেতারা।
জামালগড় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সজল বর্মন তিনি বলেন, পোনা মাছ না ধরার জন্য হাওর পারের বিভিন্ন গ্রামের জেলেদের বিভিন্ন সময়ে উদ্বুদ্ধ করা হয় কিন্তু কে শুনে কার কথা।
তাহিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, বেশ কয়েকটি হাওরে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আরো অভিযান চালানো হবে।