পাঠানটুলায় সড়ক ও জনপথের ভূমি উদ্ধার করল সিসিক

8
নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় মূল সড়কের উভয় পাশে ৩য় দিনের উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় সড়ক ও জনপথের ভূমি উদ্ধার করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ সময় উদ্ধারকৃত ভূমিতে গড়ে তোলা ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে যুগের পর যুগ দখলে থাকা এসব ভূমিতে গড়ে তোলা অন্তত অর্ধশতাধিক ভবনের অংশ ও পাঠানটুলা এলাকা ‘জামান ভিউ’ নামে একটি ভবন পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ভবনটি সড়ক ও জনপদের ৭০ ফুট জায়গা অবৈধভাবে দখল করে তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ ভবনটির ফ্ল্যাট ও দোকান ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল দখলদাররা।
সিসিক ও সওজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ভবন মালিককে একাধিক নোটিশ দিয়ে টানা ২ সপ্তাহ মাইকিং করলেও কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে গত বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই থেকে সওজ ও সিসিক মিলে সার্ভে করে যৌথ অভিযানে নামে। ৩ দিনের উচ্ছেদ অভিযানে জামান ভিউসহ অর্ধশতাধিক ভবন, মার্কেটের দখলকৃত অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লন্ডনি রোড, পাঠানটুলা, পশ্চিম পাঠানটুলায় অন্তত ৬০টি ভবনে ভাঙচুর করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালে এসব জায়গা অধিগ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ (সওজ)। আমরা ড্রেনের কাজ শুরু করেছি। ৮ ফুট ড্রেন না হলে পানি সরবরাহ ঠিক থাকছে না। এ অবস্থায় সওজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ড্রেন প্রশস্তকরণে জায়গা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তারা জানান, তাদের অনেক জায়গা দখল হয়ে আছে। যৌথ সার্ভে করে দখলকৃত জায়গার কোথাও ১৬০ ফুট, কোথাও ২০০ ফুট নির্ধারণ করে দখল ছাড়তে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় সিসিক ও সওজ একযোগে প্রায় ১৫ দিন মাইকিং করে জানিয়ে দেয়। কিন্তু যারা দখলে আছে, তারা ভেঙে ফেলার আশ্বাস দিলেও তারা ভবনের দখল ছাড়েনি বা ভাঙেনি। যে কারণে আমরা অ্যাকশনে গেছি।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ভাড়াটিয়াদের ছেড়ে যেতে বলেছি। মানবিক কারণে এ তিন দিন পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করিনি। এখন আজকে ভাঙার উদ্যোগ নিলে তারা ছেড়ে যাচ্ছেন।
সিসিক মেয়র বলেন, ওইসব জায়গায় সিসিকের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে স্যাটেলমেন্ট জরিপের নামজারি দিয়ে। সরকারি জায়গা নিজেদের নামে করে নিয়ে ভবন তৈরির অনুমোদন থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির লাইন নিয়েছেন। তৎকালীন ভূমি জরিপে যারা নামকরণ করে দিয়েছেন, তারা নিশ্চই এখন অবসরে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাছাড়া নগরভবনে যারা ভবন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন তাদের বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, সওজ এ ভূমি ১৯৭২ সালে অধিগ্রহণ করে। যুগ যুগ ধরে দখলে নিয়ে ভোগ করে আসছিল। ড্রেনেজ সম্প্রসারণ করতে গিয়ে সিসিক সেগুলো উদ্ধার করে দিয়েছে। এসব ভূমির মালিকানা নেই দখলদারদের।