ধান-চালের অবৈধ মজুত অনুসন্ধানে ৩৫ কর্মকর্তা

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
অবৈধভাবে মজুত করা খাদ্যশস্য বিশেষ করে ধান, চাল ও গম খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৬০ জেলায় এ কার্যক্রম চলবে। এ জন্য খাদ্য বিভাগের ৩৫ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শারমিন ইয়াসমিন সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, বোরো সংগ্রহের অগ্রগতি মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের জন্য ৩৫ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। এদের মধ্যে পরিদর্শন করবেন ২৯ জন। আর ছয়জন মনিটরিং করবেন।
যে সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে
১. পরিদর্শনের সময় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সীমান্ত এলাকার জেলা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে সতর্কতা।
২. পরিদর্শনের সময় গুদাম ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষিত খাদ্যশস্যের মান, নীতিমালা অনুযায়ী খামাল গঠন করে গুদামের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতার ব্যবহারসহ মন্ত্রণালয় থেকে সময় সময় জারি করা নির্দেশনা সঠিকভাবে পালিত হচ্ছে কিনা তা পরিদর্শন করে যাচাই করতে হবে।
৩. বেসরকারি পর্যায়ে মজুত পরিস্থিতি, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে এবং বিদ্যমান এসআরওতে উল্লিখিত পরিমাণের অধিক কোনও আড়তদার, মিলার বা ফড়িয়া খাদ্যশস্য মজুত করছে কিনা তা অনুসন্ধান করতে হবে। চুক্তিবদ্ধ মিলারদের দ্রুত খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
৪. দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জেলা-উপজেলা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন সাত কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন।
৫. তবে প্রতিবেদনে গুদাম ও ভবন সংস্কার সম্পর্কিত কোনও সুপারিশ করা যাবে না।
৬. ২০২২ মৌসুমের বোরো সংগ্রহের সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত হওয়ায় এই সময়ের মধ্যে পরিদর্শন শেষ করতে হবে। ৩১ আগস্টের পর বহাল থাকবে না আদেশ।
এছাড়া অনুমতি নিয়ে মন্ত্রী বা সচিবের একান্ত সচিবরা যে কোনও বিভাগ ও জেলা-উপজেলা পরিদর্শন করতে পারবেন।