স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর সুবিদবাজার বনকলাপাড়া নুরানী আবাসিক এলাকার এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী-সন্তান পরিচয় দিয়ে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর ৩১ বছর পর এক মহিলা নিজেকে স্ত্রী দাবি করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার সৈয়দ তছির আহমদের পুত্র সৈয়দ আবু শাহিন আজাদ খোকন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, জনৈক রবই মিয়ার মেয়ে শিমলি বেগম ও তার মা সামসুন তার মৌরসী সম্পত্তি গ্রাস করার উদ্দেশ্যে জাল দলিলসহ কাগজাদি তৈরি করে বিভিন্ন দফতরে জমা দেয়। এসব কাগজাদি ভ‚য়া ও জাল উল্লেখ করে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাও দায়ের করেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনেও তাদের কাগজপত্র ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এছাড়া হয়রানির উদ্দেশ্যে সামসুন নাহার সমছুন বাদী হয়ে মিথ্যা অভিযোগে সৈয়দ আবু শাহিন আজাদ খোকনসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলে পিবিআই তদন্ত করে সেটিরও কোন সত্যতা পায়নি মর্মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ আবু শাহিন আজাদ খোকন আরো জানান, তার বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা মারা যাওয়ার ৩১ বছর পর সমছুন তার পিতার স্ত্রী দাবি করছেন। এমনকি শিমলি বেগম নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে বলে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এসব কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন বিয়ানীবাজারের চন্দরপুর গ্রামের কলমদর আলীর ছেলে ময়না মিয়া, মৃত ওয়াতির আলী কুটি মিয়ার ছেলে মজির উদ্দিন লেদন, বেদন মিয়া ও সিরাজ মিয়া।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সম্পত্তিতে অংশীদার হওয়া এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নাম তালিকাভুক্তির জন্য এ ধরনের ভ‚য়া উত্তারাধিকারী সনদ তৈরি করেছেন সমছুন চক্র। বিশেষ করে শিমলি তার সঠিক পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন কাগজাদিতে একেকবার একেকজনকে পিতা হিসেবে উল্লেখ করে আসছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সমছুন চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।