চালের দামে বিক্রি হচ্ছে আটা-ময়দা !

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মুখে নিত্যপণ্যের বাজারে বর্তমান চালের দামে বিক্রি হচ্ছে আটা-ময়দা। এতে করে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের কারণে ভাতের পরিবর্তে যারা নিয়মিত দু-একবেলা রুটি খান তারা পড়ছেন বেকায়দায়। এছাড়া চাল ও আটার দাম বাড়ায় দেশের বেকারি পণ্য ও রেস্তরাঁয় ইতোমধ্যে খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্দোনেশিয়া রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় দেশেও পামঅয়েলের দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এছাড়া ভোজ্যতেল নিয়ে এতদিন বাজারে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল তা কাটতে শুরু করেছে। বেশি দাম হলেও বাজারে মিলছে সব ধরনের ভোজ্যতেল। ফের বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও ডিমের দাম। মশুরের ডালের দাম কিছুটা কমলেও স্থিতিশীল রয়েছে চিনি ও মসলাপাতির দাম। সবজি ও মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে আগেরমতো চড়া দামে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ও রায়ের বাজার সিটি কর্পোরেশন কাঁচাবাজার থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ভারত থেকে গম রফতানি বন্ধের খবরে দেশে আটা ও ময়দার দাম বাড়তে থাকে। যদিও সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে প্রতিবেশী এই রাষ্ট্র থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে গম আমদানি চালু রয়েছে। কিন্তু দাম কমছে না আটা ও ময়দার। বরং সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়ছে খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দাম। সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা েেট্রাডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, প্রতিকেজি খোলা আটা খুচরা পর্যায়ে ৪২-৪৫, প্যাকেট আটা ৪৮-৫০, ময়দা প্যাকেট প্রতিকেজি ৬২-৬৮ এবং খোলা ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
অন্যদিকে প্রতিকেজি মোটা চাল জাত ও মানভেদে ৪৫-৪৮ এবং সরু মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল ৫৮-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৪৬-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এ প্রসঙ্গে ফার্মগেট বাজারের মুদিপণ্যের বিক্রেতা আবুল বাশার মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, আটা ও চালের দাম সমান। শীঘ্রই সরবরাহ না বাড়লে আটার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই বাজারের ক্রেতা পূর্ব রাজা বাজারের বাসিন্দা রমজান আলী আক্ষেপ করে জানান, যেভাবে আটার দাম বাড়ছে তাতে রুটি খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। তিনি জানান, বাসায় তার বয়স্ক মার খাবার এই রুটি। ডাক্তারী পরামর্শে তাকে দুবেলা রুটি খেতে হচ্ছে। অথচ আটার দাম বাড়ায় এখন বাড়তি পয়সা খরচ হচ্ছে। এদিকে, রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার খবরে পামঅয়েলের দাম কমতে শুরু করেছে। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের নিয়মিত অভিযানের মুখে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে মজুদ করার প্রবণতা থেকে কিছুটা সরে আসায় বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠতে পারে এসব অসাধু মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা। এ কারণে এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। দাম কমে প্রতিলিটার পামঅয়েল লুজ ৬২-৬৮ এবং পামঅয়েল সুপার ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া দাম বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ মান ও জাতভেদে ৪০-৫০, রসুন ৮০-১০০, এবং ডিম প্রতিহালি ৩৮-৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। এছাড়া মাংস আগের দাম বিক্রি হচ্ছে। তবে চড়েছে সবজির বাজার। সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কাঁচা বাজারে।
কাজিরবাজার ডেস্ক
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মুখে নিত্যপণ্যের বাজারে বর্তমান চালের দামে বিক্রি হচ্ছে আটা-ময়দা। এতে করে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের কারণে ভাতের পরিবর্তে যারা নিয়মিত দু-একবেলা রুটি খান তারা পড়ছেন বেকায়দায়। এছাড়া চাল ও আটার দাম বাড়ায় দেশের বেকারি পণ্য ও রেস্তরাঁয় ইতোমধ্যে খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্দোনেশিয়া রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় দেশেও পামঅয়েলের দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এছাড়া ভোজ্যতেল নিয়ে এতদিন বাজারে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল তা কাটতে শুরু করেছে। বেশি দাম হলেও বাজারে মিলছে সব ধরনের ভোজ্যতেল। ফের বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও ডিমের দাম। মশুরের ডালের দাম কিছুটা কমলেও স্থিতিশীল রয়েছে চিনি ও মসলাপাতির দাম। সবজি ও মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে আগেরমতো চড়া দামে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ও রায়ের বাজার সিটি কর্পোরেশন কাঁচাবাজার থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ভারত থেকে গম রফতানি বন্ধের খবরে দেশে আটা ও ময়দার দাম বাড়তে থাকে। যদিও সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে প্রতিবেশী এই রাষ্ট্র থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে গম আমদানি চালু রয়েছে। কিন্তু দাম কমছে না আটা ও ময়দার। বরং সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়ছে খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দাম। সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা েেট্রাডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, প্রতিকেজি খোলা আটা খুচরা পর্যায়ে ৪২-৪৫, প্যাকেট আটা ৪৮-৫০, ময়দা প্যাকেট প্রতিকেজি ৬২-৬৮ এবং খোলা ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
অন্যদিকে প্রতিকেজি মোটা চাল জাত ও মানভেদে ৪৫-৪৮ এবং সরু মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল ৫৮-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৪৬-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এ প্রসঙ্গে ফার্মগেট বাজারের মুদিপণ্যের বিক্রেতা আবুল বাশার মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, আটা ও চালের দাম সমান। শীঘ্রই সরবরাহ না বাড়লে আটার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই বাজারের ক্রেতা পূর্ব রাজা বাজারের বাসিন্দা রমজান আলী আক্ষেপ করে জানান, যেভাবে আটার দাম বাড়ছে তাতে রুটি খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। তিনি জানান, বাসায় তার বয়স্ক মার খাবার এই রুটি। ডাক্তারী পরামর্শে তাকে দুবেলা রুটি খেতে হচ্ছে। অথচ আটার দাম বাড়ায় এখন বাড়তি পয়সা খরচ হচ্ছে। এদিকে, রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার খবরে পামঅয়েলের দাম কমতে শুরু করেছে। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের নিয়মিত অভিযানের মুখে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে মজুদ করার প্রবণতা থেকে কিছুটা সরে আসায় বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠতে পারে এসব অসাধু মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা। এ কারণে এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। দাম কমে প্রতিলিটার পামঅয়েল লুজ ৬২-৬৮ এবং পামঅয়েল সুপার ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া দাম বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ মান ও জাতভেদে ৪০-৫০, রসুন ৮০-১০০, এবং ডিম প্রতিহালি ৩৮-৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। এছাড়া মাংস আগের দাম বিক্রি হচ্ছে। তবে চড়েছে সবজির বাজার। সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কাঁচা বাজারে।