নগরীর সুরমা নদীর তীরবর্তী মিল ও আড়তের কোটি টাকার ধান-চাল নষ্ট

6

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর সুরমা নদীর তীরবর্তী মিল ও আড়তের কোটি টাকার ধান-চাল বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও নগরীর ধান-চালের ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছেন।
নগরীর কাজিরবাজার ধান-চালের মিল ও আড়তে গিয়ে দেখা ও জানা যায়, গুদামগুলোর কোনো কোনোটায় ছিলো কোমর পানি। গুদামে রাখা সারি সারি ধান-চালের বস্তা ভিজে নষ্ট হয়েছে বন্যার পানিতে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় গত শনিবার থেকে গুদামগুলো খুলতে শুরু করেন ব্যবসায়ীর। গুদামগুলো থেকে বেরিয়ে আসছে ধান-চাল পচা দুর্গন্ধ। মজুতকৃত ৫০ কেজির হাজারো বস্তা চাল এবং ২ মন ওজনের ধানের বস্তার স্তুপ ভিজে পচন ধরেছে। এমন চিত্র কাজিরবাজারের প্রতিটি গুদামের। বন্যার কারণে আড়ৎদাররা ধান-চালের বস্তা সরানোর সময় পাননি। ধান-চালের পচা দুর্গন্ধে এখন ওই এলাকার বাতাস দুষিত হয়ে আছে। এমন অপূরণীয় ক্ষতিতে ব্যবসায়ীরা কান্না করছেন।
শেখঘাটের আড়ৎ ও অটো রাইসমিলগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানের গুদাম ও অটো রাইসমিল থেকে ভেজা চাল ও ধানের বস্তা বের করছেন। ওই এলাকাজুড়ে ধান-চাল পচা গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে। গুদামগুলোর মধ্যে জমে থাকা পানিতে চাল পড়ে সেগুলো থেকেই গন্ধ বের হচ্ছে।
নগরীর কাজিরবাজার ও শেখঘাট অংশে শতাধিক চালের ব্যবসায়ী রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি অটো রাইসমিল। চাল ব্যবসায়ীদের আলাদা গুদামও রয়েছে। গুদামে হাজার হাজার বস্তা চাল রাখা থাকে। সেগুলো একসঙ্গে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। নদীর পানি উপচে গুদাম ও রাইসমিলে প্রবেশ করে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।