অতিবৃষ্টির ফলে নগরীতে আলু ছাড়া সকল সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

2

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট বিভাগজুড়ে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় অনেক এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে কৃষকের ফসল। যার প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে আলু।
নগরীর কয়েকটি সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজির দাম সর্বনিম্ন ৫০ টাকা। শুধুমাত্র আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজিতে। এই অবস্থায় ক্রেতারা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের মরণ ছাড়া আর উপায় থাকবে না।
বন্দরবাজারের সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁপে ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স, পটল ও ঝিঙা ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি কিনতে আসা জমির উদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। মানুষের আয় কমে গেছে। অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে ঘুরছে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো না। বাজারের অবস্থাও যদি এমন ঊর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে আমরা বাজার করব কী করে? আমাদের সংসার চলবে কী করে?
এক শ্রমজীবি জানান, অসুস্থতার কারণে তেমন কাজ করতে পারেন না। সংসারে একমাত্র কর্মক্ষম তিনি। সারাদিন কাজ করেও মিলছেনা ৫০০ টাকা। সবধরনের সবজির দাম বেশি হওয়ায় বাজারে এসে তাকে খুঁজতে হয় কমদামি সবজি। তিনি বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের যেই দাম, সে অনুযায়ী তো পারিশ্রমিক বাড়ে না। দৈনিক কাজ করে যেই টাকা আসে, তা দিয়ে বাজারই হয় না। চালের দাম বাড়তি, তেলের দামও কিছুদিন পর পর বাড়ে। সবজির দামও বাড়তির দিকে। চার জনের সংসার, টানতে খুবই কষ্ট হয়।
খুচরা পর্যায়ের সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর থেকেই কাঁচা সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেশি। এরপর আবার বৃষ্টির কারণেও বাজারে তেমন সবজি আসছে না। আসতে গেলে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যেকারণে প্রতি কেজি সবজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে খুচরা বাজারে।
বন্দরবাজারের সবজি বিক্রেতা আকবর আলী বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ মোটামুটি কম। যেরকম চাহিদা আছে, তার চেয়ে যদি সরবরাহ কম থাকে দাম তো বেশিই হবে। তিনি বলেন, কয়দিন পরপরই বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেলে বাজারে সবজি কমে যায়। বিভিন্ন জেলা থেকেও এই সময়ে সবজি আসতে পারে না। তাই সব সবজিরই এখন দামটা বেশি।