হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের (বরখাস্তকৃত) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে শোকজ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ১০ কার্য দিবসের ভিতরে শোকজের বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন।
গত (২৩ জুন) মঙ্গলবার উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে দেড় বছর ধরে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শাহেলা আক্তার সালমা ও সালেহা বেগম।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়- উপজেলার গজনাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল প্রায় দেড় বছর ধরে ভিজিডির সুবিধাভোগী দুই নারীর নামে বরাদ্দকৃত (প্রতিমাসে ৩০ কেজি) চালভিজিডির চাল আত্মসাৎ করে আসছেন। অভিযোগে আরও জানা যায় ওই ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের শাহেলা আক্তার সালমা ও সালেহা বেগম প্রায় দেড় বছর আগে ভিজিডির চালের তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের কাছে ছবি ও ভোটের আইডি কার্ড দেন। এ সময় চেয়ারম্যান তাদেরকে বলেন, তালিকাটি চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে আসলে তারা চাল পাবে। চেয়ারম্যানের এমন আশ্বাসে আনন্দিত হন দরিদ্র পরিবারের এই দুই নারী। এরপর তালিকাভুক্তদের চাল বিতরণ শুরুর খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের নিকট যান। চেয়ারম্যান মুকুল তাদেরকে অপেক্ষা করতে বলেন। অনেকদিন অতিবাহিত হলেও দুই নারী চালের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান মুকুল তাদেরকে বলেন, তাদের নাম তালিকায় উঠেনি, তাদেরকে চাল দেয়া যাবে না। পরে তাদের নাম ভিজিডির তালিকায় দেখতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান এই দুই নারী।
উল্লেখ্য- নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে চার বছর ধরে ২২৯ জন লোকের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল আত্মসাতের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৭ জুলাই গজনাইপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।