স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ওসমানী হাসপাতালের গেইটে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে’র জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন হোটেল শ্রমিক নাজিম আহমদ (২০)। গতকাল রবিবার দুপুরে নাজিমের ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পিতা নুর মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনার পরপরই ১ জনকে গ্রেফতার করে। নিহত যুবক নাজিম আহমদ (২০) সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার শেরপরশ এলাকার নুর মিয়ার পুত্র। বর্তমানে সে নগরীর দরগাহ মহল্লার ৭৪ নং বাসার বাসিন্দা।
এদিকে হোটেল শ্রমিক নাজিম হত্যার কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৯ জন যুবক। তারা সকলেই মিলে নাজিমকে হত্যা করে। এমন তথ্য জানিয়েছেন, মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবার আলী শেখ। তিনি বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে আগ থেকে বিরোধ চলছিলো। হামলাকারীদের একজন জেল খেটে কিছুদিন আগেই বের হয়েছে। ৯ জন যুবক মিলে নাজিমকে হত্যা করে। এসময় ৩ যুবক তার বুকের বাম পাশ, উরুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। আহত ও হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় মেলেনি। এছাড়া হামলায় এক তাঁতীলীগ নেতা ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, শনিবার রাত ১০ টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের ৩নং ফটকের সামনে নাজিমসহ ৩ জনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ছুরিকাহত ৩ জনকেই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তৃব্যরত চিকিৎসক ১ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দু’জনের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার মীর কাশেমের পুত্র জুয়েল আহমদকে এ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গতকাল রবিবার বিকেলে জুয়েলকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি বলেন, এ হত্যাকা্েন্ড জড়িত থাকা সবাইকে গ্রেফতার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। পাশাপাশি রিমান্ডে নেয়া জুয়েলের সহযোগিতায় সম্পৃক্তদের সনাক্তকরণ ও গ্রেফতার প্রক্রিয়া দ্রুত হবে বলে আশা করছি।