হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মাত্র ৩৬ হাজার টাকাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মোশাহিদ মিয়া (১৮) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলার দত্তপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোজাম্মিল হোসেন ও হাফিজুল নামে দুইজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত মোশাহিদ মিয়া উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামের সবুজ মিয়ার পুত্র।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরান হোসেন জানান, দত্তপুর গ্রামের আব্দুল কাদির নামে এক ব্যক্তি হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর বাইপাস রোড এলাকায় ভাঙাড়ির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। তার ভাঙারির দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো নিহত মোশাহিদ মিয়ার ফুফাতো ভাই হাফিজুল। গত ৩ মাস যাবত ব্যবসায়ী আব্দুল কাদির হাফিজুলের প্রতিমাসের বেতন ১২ হাজার টাকা করে মোট ৩৬ হাজার টাকা দেয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য ও বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে শালিশ বৈঠকে হাফিজুলের ৩৬ হাজার টাকা দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। গতকাল রবিবার এ বিষয়টি নিয়ে আবারো গ্রামের বাড়িতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সুজাতপুর ফাঁড়ি পুলিশ ও বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ওসি আরো বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মোশাহিদকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও রায়হান মিয়া, ডালিম আহমেদ, সালমা বেগম, জুয়েল মিয়া, ছবুর আহমেদ, রেজাক মিয়াসহ অন্তত ১৫ জনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।